ফের কলকাতায় করোনা আতঙ্ক । জয়পুর থেকে কলকাতায় শ্বাসকষ্ট নিয়ে ফিরেছিলেন এক মহিলা। বেহালা ম্যানটন-এর ওই মহিলার বয়স ৬২ বছর। দ্রুত তাঁকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দোলেও বেরঙা জীবন, সময় মতো বেতন নেই ইএসআই হাসপাতালে
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ওই প্রবীণ মহিলা গত ফেব্রুয়ারি মাসে জয়পুরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সোমবার বাড়ি ফেরার পরে অসুস্থ বোধ করেন। শ্বাসকষ্ট হতে থাকে। তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হসপিটালে। কালকে রাতে ইএসআই হসপিটালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। এরপরই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়।
করোনা-সচেতনতায় পার্কে মিমি, বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতে খেলতেই দিলেন সুরক্ষার পরামর্শ
ওই প্রবীণার পরিবারের অভিযোগ, ইএসআই হসপিটালে নিয়ে গেলেও সু ব্যবস্থা পাননি তারা। বিশেষভাবে রাখা তো দূর, অন্য রোগীদের সঙ্গেই ফেল রাখা হয়েছিল তাঁকে। আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। রাজ্যে করোনা ভাইরাস সন্দেহে সোমবারই দক্ষিণ কলকাতার নার্সিংহোমে ভর্তি হন কাজাখস্তান ফেরত প্রৌঢ়৷ রোগীর দেহে করোনার উপসর্গ দেখা দিলেও এখনও রক্তের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পায়নি চিকিৎসকরা। এদিকে, আক্রান্তের পরিবারের অভিযোগ, নমুনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে হেনস্থা হতে হয়েছে তাদের। বেলেঘাটা আইডি ও নাইসেডের থেকে সাহায্য় পাননি তাঁরা।
গরম বাড়লেই করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি, বলছেন চিকিৎসকরা
সূত্রের খবর, সোমবার কাজাখস্তান ফেরত ওই প্রৌঢ়ের নমুনা পরীক্ষা করাতে যান তার আত্মীয়রা৷ নাইসেড থেকে বেলেঘাটা হাসপাতালে গিয়েও সুরাহা হয়নি। সেখান থেক বলা হয় , রোগী যেই নার্সিংহোমে রয়েছেন সেখান থেকে নমুনা পরীক্ষার কন্টেনার নিয়ে আসতে। বার বার বলা সত্ত্বেও কেবল নমুনা পরীক্ষা করাতে গিয়েই এই পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে তাদের। পরীক্ষা করতে গিয়ে এভাবে তারা হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ৷
যদিও নাইসেড কর্তৃপক্ষ সাফাইয়ে জানিয়েছে, সোমবার তাদের কোন ছুটি নেই৷ এদিনও তাদের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে৷ কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের মাধ্যমে এই পরীক্ষা করার জন্য আসতে হয়। যদিও নার্সিংহোমের অভিযোগ, স্বাস্থ্য দফতরের কন্ট্রোল রুমে একাধিকবার ফোন করা হলেও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি৷ ফলে দিনের শেষে নুমনা পরীক্ষা করাতে হিয়ে ভুগতে হয়েছে তাদের।
এদিকে রবিবার সৌদি আরব ফেরত মুর্শিদাবাদের যুবকের মৃত্যুতে করোনা সন্দেহ দানা বেঁধেছিল রাজ্য়ে। দ্রুত ওই যুবকের দেহের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল। স্বাস্থ্য় দফতর জানিয়েছে,মৃত যুবকের দেহে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি৷ জানা গিয়েছে, রবিবার করোনা ভাইারাসে আক্রান্ত সন্দেহে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে মুর্শিদাবাদের এক ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তি সৌদি আরব থেকে সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে ফিরেছিলেন। সৌদি থেকে ফেরার পরেই জ্বর ছিল শরীরে। প্রথম থেকেই ডাক্তাররা তাকে মুর্শিদাবাদ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখেন। পরে তাঁর রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছে বেলেঘাটা আইডিতে।