উপাচার্যের ইস্তফার জের, কার্যত অচল হওয়ার আশঙ্কায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়

Published : Mar 07, 2020, 11:53 AM IST
উপাচার্যের ইস্তফার জের, কার্যত অচল হওয়ার আশঙ্কায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়

সংক্ষিপ্ত

 বসন্ত উৎসবে শালিনতার মাত্রা ছাড়াল একদল উচ্ছৃঙ্খল তরুণ-তরুণী   ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে এই  উশৃঙ্খলতা বরদাস্ত করেননি অনেকেই  যার জেরে শুক্রবার রাতে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন  রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য   তই বুধবার থেকে কার্যত অচল হওয়ার পথে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় 

বুধবার থেকে অচল হওয়ার সম্ভাবনার পথে এগিয়েছে চলেছে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।  সূত্রের খবর,শুক্রবার রাতে উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী ইস্তফাপত্র পাঠানোর পরেই এমনই সম্ভাবনা জোরালো হয়ে উঠছে। জরুরী ভিত্তিতে বুধবারই রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বৈঠক ডেকেছে।  জানা গেছে, ওই বৈঠকে উপাচার্যের ইস্তফা দেওয়ার প্রসঙ্গের সঙ্গে সঙ্গে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে শিক্ষক সমিতি। ওই বৈঠকে অধ্যাপকরা কর্মবিরতি শুরু করতে পারেন।

আরও পড়ুন, বিয়েতে বাধা ইয়েস ব্যাঙ্ক, ঘর ছেড়ে টাকার লাইনে কনে


সূত্রের খবর,  বৃহস্পতিবার বিটি রোডের ধারে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্তোৎসব অনুষ্ঠানের শেষে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে কয়েকটি ছবি। যার একটি ছবিতে ধরা পড়ে, চার শাড়ি পরিহিত তরুণীর উন্মুক্ত পিঠে আবির দিয়ে লেখা অশ্লীল শব্দ। বিতর্কিত ইউটিউবার রোদ্দুর রায়ের লেখা 'চাঁদ উঠেছিল গগনে' গানটির বিকৃত করে প্যারোডির একটি লাইন লেখা ছিল ওই চার তরুণীর পিঠে। অপরদিকে, আরেকটি ভাইরাল ছবিতে দেখা গিয়েছে কয়েকজন তরুণ তরুণীকে। মেয়েদের খোলা পিঠে লেখা 'বসন্ত এসে গেছে' আর তাঁদের সামনে দাঁড়ানো ছেলেদের উন্মুক্ত বুকে ওই লাইনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আবির দিয়ে লেখা অশ্রাব্য গালিগালাজ। রবীন্দ্রভারতীর মতো ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে এই ধরণের উশৃঙ্খলতা বরদাস্ত করেননি নেটিজেনরা। এরপর ছবিগুলি ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সোশ্য়াল মিডিয়ায় নিন্দার ধড় ওঠে।  

আরও পড়ুন, কমেই চলেছে পেট্রোলের দাম, শীঘ্রই ছোঁবে ৭২ টাকা


সূত্রের খবর, এ প্রসঙ্গে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত দাস জানিয়েছেন, 'বুধবার দুপুর ১২টা থেকে আমরা বৈঠক দেখেছি। তারপরই যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেব।' ইস্তফা দেওয়ার প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা ও শিক্ষক সমিতি উপাচার্যের পাশে দাঁড়িয়েছেন। যদিও শুক্রবার রাতে ইস্তফা পত্র পাঠানোর পর পর শাসক দলের ছাত্র সংগঠন ও কর্মচারী সংগঠনের ওপর বসন্ত উৎসবের দূষণ নিয়ে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পড়ুয়াদের একাংশ। পাশাপাশি শুক্রবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় অভিযুক্ত পড়ুয়ারা এলেও  মুচলেকা নিয়েই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনায়় অভিযুক্ত পড়ুয়াদের কেন পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হল না তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ছাত্রদের একাংশ।  

আরও পড়ুন, করোনা ভাইরাস আতঙ্ক, মাস্কের কালোবাজারি রুখতে কড়া পদক্ষেপ পুলিশের
 

PREV
click me!

Recommended Stories

SIR Update : কত বাদ গেল, খসড়া তালিকায় নাম না থাকলে কী করবেন? বড় আপডেট দিল নির্বাচন কমিশন
জর্ডনের রানী সর্বথ ইকরামুল্লাহর সঙ্গে কলকাতা ঘনিষ্ট যোগ, বিয়ে হয়েছিল করাচিতে- চিনুন এই মহিলাকে