সাইকেলের সামান্য় আঘাত লাগার দরুন আরোহীকে উদ্দাম প্রহার। গত শনিবার নিমতায় এই ঘটনা ঘটে। ঠিক মত বেল না দিয়ে যাওয়ার সময় অসাবধানতাবশত এক মহিলার গায়ে ধাক্কা দিয়েছিলেন ওই যুবক। অভিযোগ, তারপরেই ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করেন ওই মহিলার স্বামী। এই ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে। তারপর টানা ছদিন হাসপাতালে কাটিয়ে গত শুক্রবার মৃত্যু হল ওই যুবকের।
আরও পড়ুন, শিক্ষকের মারে আহত ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি ইএসআই হাসপাতাল
পুলিশি সূত্রে খবর, পুলিশ জানায়, বছর চৌত্রিশের ওই সাইকেল আরোহীর নাম বিকাশ মাঝি। নিমতার বিশরপাড়ার উত্তর সপ্তগ্রামের বাসিন্দা ওই যুবক একটি ওষুধের দোকানে কাজ করতেন। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক কর্তা জানিয়েছেন, প্রথম দিনের ঘটনার পরেই যুবকের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছিল। এখন তাঁর মৃত্যুর পরে ওই মামলায় অন্য ধারাও যুক্ত করা হবে। শুক্রবার বিকাশের মৃত্যুর খবর পেয়ে পালিয়ে যান অভিযুক্তেরা। ওই পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
আরও পড়ুন, শিয়ালদহের উত্তর শাখায় বাতিল হল একাধিক ট্রেন, রবিবার রাত বারোটা থেকে চলবে সিগন্যালের কাজ
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ছেলে ধ্রুবকে সাইকেলে নিয়ে চিকিৎসকের কাছ থেকে ফিরছিলেন বিকাশ। সেই সময়ে বাড়ির কাছে রাস্তায় দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন প্রতিবেশী দুই মহিলা। অভিযোগ, বেশ কয়েক বার বেল দেওয়া সত্ত্বেও ওঁরা সরেননি। অপরদিকে প্রতিবেশী মহিলাদের দাবি, সেই সময়ে তাঁদের গায়ে ধাক্কা লাগে। বিকাশ কেন বেল বাজাননি, সেই প্রশ্নও তোলেন তাঁরা। এতেই প্রতিবাদ করেন বিকাশ। আর এরপরই হঠাৎ মহিলাদের এক জনের স্বামী বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে বিকাশের উপরে চড়াও হন বলে অভিযোগ। বিকাশকে সাইকেল থেকে নামিয়ে চড়-ঘুষি মারা হয়। তারপরেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই যুবককে। সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকাশের মৃত্যুর খবর শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে রীতিমত বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ঘটনার খবর পেতেই এলাকায় আসে পুলিশ। তবে পুলিশ আসার আগেই বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যান অভিযুক্তেরা। এই মুহূর্তে স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।