নেতাজি জীবনের শেষটা কাটিয়েছিলেন সাধক সারদানন্দ নামে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু রহস্য নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত

একটি হিন্দি দৈনিকে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, জীবনের শেষদিনগুলো বারাণসী-গাজিপুরের কাথি গ্রামের গুহায় সাধক হিসেবে কাটিয়েছিলেন নেতাজী। সে সময় তাঁর পরিচয় ছিল সাধক সারদানন্দ (Sarada Nanda) হিসেবে। তিনি একটি গুহায় জীবনের বাকি দিনগুলো কাটান।

নেতাজির (Netaji) অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে রয়েছে বহু গুজব। বহুবার বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ১৯৪৫ সালে প্লেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়নি তাঁর। তিনি ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন। কেউ বলেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhas Chandra Bose) জীবনের শেষটা কাটিয়েছেন গুমনামি বাবা নামে, কেউ দাবি করেন তিনি লোকচক্ষুর আড়ালে স্বাধীনতা আন্দোলন পরিচালনা করেছিলেন। এই সকল বিষয়ে বিস্তর অনুসন্ধান, গবেষণার পরও তা উদঘাটন হয়নি। চলেছে বিস্তর আইনী মামলা। যা এখনও সমাপ্তি হয়নি। আর এবার নেতাজিকে নিয়ে উঠে এল আরও এক অদ্ভুত তথ্য। 

একটি হিন্দি দৈনিকে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, জীবনের শেষদিনগুলো বারাণসী-গাজিপুরের কাথি গ্রামের গুহায় সাধক হিসেবে কাটিয়েছিলেন নেতাজী। সে সময় তাঁর পরিচয় ছিল সাধক সারদানন্দ (Sarada Nanda) হিসেবে। তিনি একটি গুহায় জীবনের বাকি দিনগুলো কাটান। তখন প্রাক্তন পিডাব্লুডি কর্মী কৃষ্ণকান্ত পাণ্ডের সঙ্গে নেতাজীর যোগাযোগ ছিল। তাঁর প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছুর ব্যবস্থার দায়িত্ব ছিল তাঁরই কাঁধে। এমনকী, কাঁথির বাইরেও নেতাজি সমস্ত প্রয়োজনীয় কাজের জন্য কৃষ্ণকান্তের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। এমনই দাবি করেছেন কৃষ্ণকান্ত পাণ্ডের (Krisnakanta Pandey) ছেলে শ্যামাচরণ পাণ্ডে। 
শ্যামাচরণ পাণ্ডে মোদি সরকারকে একটি চিঠি লেখেন। তাঁর দাবি অনুসারে, গঙ্গার তীরে একটি গুহায় থাকতেন নেতাজি। তাঁর বাবার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তাঁর বাবা সে সময় ডায়েরি লিখতেন। সেই ডায়েরি আছে তাঁদের সমস্ত কথোপকথন। 

Latest Videos

চিঠি থেকে জানা যায়, কাথিতে থাকতেন নেতাজি (Netaji Subhas Chandra Bose)। পুনটুন সেতু থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে একটি গুহায় থাকতেন সাধক। ১৯৫২ সালের ১৪ জানুয়ারি মকরসংক্রান্তির (Makar Sankranti) দিন থেকে তিনি থাকা শুরু করেন। কিন্তু, লোক জানা জানি হতে তিনি বিন্দাচল পার্বত্য অঞ্চলে চলে যান। ১৯৫২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কাথি ত্যাগ করেন ওই সাধক।   

আরও পড়ুন: 'আমার শেষ ইচ্ছাটুকুও আমার পিতাকে অনুসরণ করেই'- যাওয়ার আগেও শেষ ইচ্ছেতে রেখে গেলেন বাবার ছোঁয়া

আরও পড়ুন: Shaoli Mitra: স্মৃতির শহরে শাঁওলি মিত্র, ফিরে দেখুন তাঁর সেরা মুহূর্তের ফ্রেমগুলি

শ্যামাচরণ পাণ্ডে একজন প্রাক্তন আইবি অধিকর্তা। তিনি দাবি করেন, নেতাজি ১৯৪৫ সালে প্লেন (Plane) দুর্ঘটনায় মারা জাননি। তিনি জীবনের শেষ দিকে কাথিতে কিছুদিন থেকেছেন। সাধক সারদানন্দ নামে নিজেকে পরিচয় দিতেন। সেখানের একটি গুহায় তাঁর বাস ছিল। এই সাধকের সঙ্গে নেতাজির ছিল অদ্ভুত মিল। শ্যামাচরণ পাণ্ডের এই দাবি নিয়ে চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। শ্যামাচরণের এই দাবি আরও জলঘোলা করল নেতাজির মৃত্যু রহস্যের। সত্যিই তিনি সাধর সারদানন্দ হিসেবে জীবনের শেষ দিনগুলো কাটিয়েছিলেন কি না, তা এখন সকলেরই প্রশ্ন। 
 

Share this article
click me!

Latest Videos

জঙ্গি গ্রেফতারে কড়া বার্তা মিঠুনের | Mithun Chakraborty #shorts #mithunchakraborty #shortsvideo
Viral Video! আবাসের টাকা ঢুকতেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাটমানি চাইছেন TMC কর্মী | Murshidabad Latest News
প্রেমের আড়ালে লক্ষাধিক টাকা লুঠ! প্রতারণার নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর কাহিনি | South 24 Parganas News Today
ফিরহাদকে কড়া ডোজ দিলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari #shorts #shortsvideo #suvenduadhikari #shortsfeed
ক্যানিং-এ এসে ভেবেছিল ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকবে! রাতেই গ্রেপ্তার কাশ্মীরি জঙ্গি | Canning News Today