পোলাও থেকে পায়েস, কয়েকটা ছোট এলাচ ফেলে দিলেই স্বাদ যেন পুরো বদলে যায়। তবে শুধু স্বাদেই নয়, গুণেও কিন্তু কিছু কম যায় না এই এলাচ। এর বীজ, তেল আর নির্যাসের রীতিমতো ঔষধী গুণ রয়েছে।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য় করে এলাচ। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সবেমাত্র উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়েছে, এমন কুড়িজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে প্রতিদিন ৩ গ্রাম করে এলাচের গুঁড়ো খাওয়ানোর ১২ সপ্তাহ পরে তাঁদের রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় পৌঁছেছে। ডাইইউরেটিক এফেক্ট রয়েছে এলাচের। অর্থাৎ বারবার প্রস্রাবের মাধ্য়মে শরীর থেকে জল বার করে দিয়ে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করার গুণ রয়েছে এর। এই এলাচের মধ্য়ে এমন কিছু উপাদান আছে, যা ক্য়ানসারের সঙ্গে যুঝতে এবং টিউমারের বাড়বৃদ্ধি রোধ করতে কার্যকরী ভূমিকা নেয়। ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করে এমনটা দেখা গিয়েছে। প্রদাহ কমাতে কাজে দেয় এলাচে থাকা অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট। তাই কিছু ক্রনিক ডিজিজের ক্ষেত্রে ভাল কাজে দেয় এলাচ।
পেটের সমস্য়ায়, বিশেষ করে হজম যাতে ভাল হয়, তার জন্য় হাজার বছর ধরে চলছে এলাচের ব্য়বহার। পেটের মধ্য়ে অস্বস্তি, বমিভাব বা বমি কমাতে আর আলসার কমাতে সাহায্য় করে এলাচ। মুখ গহ্বরের স্বাস্থ্য়রক্ষা করে এলাচ। এলাচে থাকা কিছু উপাদান, মুখের ব্য়াকটেরিয়াকে মেরে দাঁতের ক্ষয় রোধ করে। সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ রোধ করতে সাহায্য় করে।
মামসিক স্বাস্থ্য়েও ভাল কাজে দেয় এলাচ। উৎকণ্ঠা বা উদ্বেগজনিত সমস্য়া কমাতে এলাচের নির্যাস বেশ ভাল কাজে দেয়। অ্য়াংজাইটির সঙ্গে অন্য়ান্য় মুড ডিসঅর্ডারেও বেশ কাজে দেয় এলাচ।