এই সময়ে ভ্যাকসিনের থেকেও জরুরি শিশুকে বিপদ থেকে দূরে রাখা, জেনে নিন শিশু-বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

  • করোনা আতঙ্কে লকডাউন সারা দেশ
  • সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৩৫,২৬৭ জন
  • সারা দেশে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৭১ জন
  • এমন পরিস্থিতিতে ছোট বাচ্চাদের কী ভাবে সুস্থ রাখবেন

deblina dey | Published : Mar 30, 2020 12:31 PM IST / Updated: Mar 30 2020, 06:08 PM IST

করোনা আতঙ্কে লকডাউন সারা দেশ। ওয়াল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখনও অবধি সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৩৫,২৬৭ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৪, ৮১৩ জনের। সারা দেশে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৭১ জন, আর মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। রাজ্যে আক্রান্তের ইতিমধ্যে এই মারণ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২১। এমন এক পরিস্থিতিতে বাড়িতে থাকা ছোট বাচ্চাদের কী ভাবে সুস্থ রাখবেন? এই সময়ে ঠিক কিভাবে যত্ন নেওয়া উচিত! এই বিষয়ে জানিয়েছেন চাইল্ড স্পেশালিস্ট চিকিৎসক অনিন্দ্য কুণ্ডু।

১) দেশের এমন পরিস্থিতিতে ২১ দিনের জন্য লকডাউন। এই সময়ে এমন বহু বাচ্চা রয়েছে যাদের টীকাকরণ বা ভ্যাকসিন দেওয়ার সময়। এই পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের ঠিক কী করা উচিৎ?

চিকিৎসক অনিন্দ্য কুণ্ডু-  এই সময়টায় শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার চেয়েও জরুরি ওদেরকে সাবধানে রাখা। তাই ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য শিশুদের এই সময় বাড়ির বাইরে বের না করাটাই উচিৎ। ভ্যাকসিন দেওয়া কয়েকটা দিন দেরিতে হলেও সেটা সমস্যার বিষয় নয়। তবে এই অবস্থায় বাইরে বেরোলে যে কোনও অসাবধানতাবসত যদি শিশুদের শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে যায় তবে তা আরও ভয়ানক হতে পারে। তাই এই সময় ছোটদের বাড়িতেই রাখুন।

২) এই সময়ে ছোটদের জ্বর, হাঁচি, কাশি, গলা ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়, সে ক্ষেত্রে কী করা উচিৎ?

চিকিৎসক অনিন্দ্য কুণ্ডু-  বছরের এই সময়টাতে ছোট থেকে বড় প্রায় সকলেরই জ্বর, সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। তাই অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এমন অবস্থায় শিশুকে নিয়ে হাসপাতালের আউটডোরে ছুটতে যাবেন না। পরিবারের পরিচিত চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। ওনার পরামর্শ মতই শিশুকে ওষুধ খাওয়ান। সাবধানে রাখুন।

৩)  যেই শিশুদের মধ্যে অতিরিক্ত সর্দি বা জ্বরের লক্ষণ রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে কিভাবে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ?

চিকিৎসক অনিন্দ্য কুণ্ডু- জ্বর, সর্দি-কাশি মানেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ— এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। নিজে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন, সন্তানকেও পরিচ্ছন্ন রাখুন। যে সব শিশুর হাঁপানির সমস্যা রয়েছে বা সর্দি-কাশির ধাত, চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে ওদের যে ইনহেলার বা ওষুধ দেওয়া হয়েছে সেগুলি চালু রাখুন। 

৪) শিশুদের যদি পেটে ব্যথা বা পেট খারাপ হয়ে থাকে এই অবস্থায় সে ক্ষেত্রে কী করা উচিৎ?

চিকিৎসক অনিন্দ্য কুণ্ডু- পেটে সমস্যা বা ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ দেখলে শিশুদের বারে বারে ওআরএস-এর জল খাওয়ান। গা-ব্যথা, জ্বর থাকলে বাড়ির পরিচিত চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে প্রয়োজনে শিশুকে প্যারাসিটামল খাওয়াতে পারেন। তবে কোনও ভাবেই এ সময় অ্যান্টিবায়েটিক খাওয়াবেন না। এতে অবস্থা আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

৫) স্তন্যপায়ী শিশুদের জন্য কোন কোন সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ এই সময়ে?

চিকিৎসক অনিন্দ্য কুণ্ডু-  স্তন্যপায়ী শিশুদের মায়েদের এই সময় অত্যন্ত সতর্ক থাকা প্রয়োজন। বিশেষ করে যদি বিদেশ বা ভিন-রাজ্য থেকে ত্মীয়-স্বজন বাড়িতে এসে থাকেন তবে শিশু ওই ব্যক্তিদের থেকে বাচ্চাকে কয়েকটা দিন দূরে রাখাই ভালো। স্তনদানের আগে অবশ্যই হাত, মুখ ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে।  শিশুকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাপড়ে রাখতে হবে। মায়ের যদি এই সময় সর্দি-কাশি হয় সে ক্ষেত্রে শিশুকে স্তন্যপান করানোর সময় মাস্ক ব্যবহার করুন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।

Share this article
click me!