অনেকেই ভাবেন, পেটব্য়থা, এর আর এমন কী ব্য়াপার। কয়েকচামচ অ্য়ান্টাসিড খেয়ে নিলেই তো হয়। আর যদি ব্য়থা বাড়ে, তাহলে একটা পেনকিলার। ব্য়স।
কিন্তু বিষয়টাকে এতটা হালকা ভাবে নেবেন না। নিলে খেসারত দিতে হবে আপনাকেই। জেনে রাখবেন, পেটব্য়াথা হতে পারে নানা কারণে।
যদি আচমকা পেটব্য়থা হয় আর তা যদি খুব তীব্র না-হয়, তাহলে একটু অ্য়ান্টাসিড খেয়ে দেখতেই পারেন। তাতে করে দুটো জিনিস হতে পারে। এক, আপনার ব্য়থা সাময়িকভাবে কমে গেল। দুই, তা কমে গিয়ে আবার খানিক্ষণের মধ্য়েই ফিরে এল। আর তিন , তা একেবারেই কমল না।
বিষয়টাকে একটু তলিয়ে দেখলে কয়েকটা জিনিস বোঝা যায় বেশ। সাময়িকভাবে যদি ব্য়থা কমে যায় তো ভাল। আর তা যদি ফিরে-ফিরে আসে, তাহলে বোঝা দরকার ওই রোগের উৎস কোথায়। নেহাতই গ্য়াস, অম্বল, নাকি অন্য় কিছু। তবে ওই ব্যথা যদি ওষুধপত্র খেয়েও সেভাবে না-কমে, তাহলে তা শাপে বর। কারণ, ওই ব্য়থার উৎস আর যাই হোক গ্য়াস-অম্বল যে নয়, তা বেশ বোঝা যায় সেক্ষেত্রে।
যদি দেখেন, অ্য়ান্টাসিড খেয়ে পেটব্য়থা কমছে বটে তবে তা ঘুরেফিরে আসছে, তাহলে কিন্তু বিষয়টা নিয়ে ভাবার আছে। তবে যদি শুধু ঘনঘন অ্য়াসিডের কারণেও পেটব্যথা ভুগতে হয় কথায়-কথায়, তাহলেও কিন্তু তা কম চিন্তার নয়। কারণ, প্রথমত, ঘনঘন অ্য়াসিডে ভোগা ভাল কথা নয়। এর থেকে খাদ্য়নালীতে এক ধরনের ইরোসন হতে পারে। আলসারও হতে পারে। তাই সেক্ষেত্রে অ্য়াসিড হওয়ার আগেই তাকে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। যদি দেখা যায়, যন্ত্রণা সারছে না অ্য়ান্টাসিড খেয়েও, তীব্র যন্ত্রণা হচ্ছে, তাহলে তা হতে পারে গলস্টোনের ব্যথা থেকে। হতে পারে অ্য়াপেন্ডিক্সের ব্যথা থেকে। হতে পারে লিভারের থেকেও। হতে পারেও আরও নানা কারণে। সেক্ষেত্রে সঙ্গেসঙ্গে হাসপাতালে ছুটতে হতে পারে।
আসলে কী জানেন, পেটব্যথা নানা কারণে হতে পারে। যেমন, গ্য়াসের ব্যথা থেকে শুরু করে গলস্টোন, অ্য়াপেনডিক্স। আবার ইরেটেবল বাওয়েল সিনড্রোম থেকেও পেটে মোচর দিতে থাকে থেকে থেকে। তাই সব ব্যথাকে গ্য়াস-অম্বল বলে তাচ্ছিল্য় করবেন না। আর যদি তা ঘনঘন গ্য়াস-অম্বলও হয়, তাতেও খুব একটা নিশ্চিন্ত হওয়াজ জো নেই। হ্য়াঁ, মাঝেমধ্য়ে পেটব্য়থা হল, তা-ও খুব তীব্র ব্য়থা নয়, তাহলে হয়তো ঠিক আছে। কিন্তু প্রায়ই ঘুরেফিরে পেটব্যথা হচ্ছে, আর আপনি ডাক্তার না-দেখিয়ে কাঁড়িকাঁড়ি অ্য়ান্টাসিড খেয়ে যাচ্ছে, এমনটা কিন্তু ভুলেও করবেন না। মনে রাখবেন, তিল থেকেই ক্য়ানসারের তাল হয়। আগে থাকতে নির্ণয় করা গেলে, অনেক রোগই কিন্তু আর বড় আকার নিতে পারে না।