সামনেই পুজো। পোশাকের স্টাইলের পাশাপাশি চুলের স্টাইলেও দিন গুরুত্ব। আজকালকার তরুণরা চুল নিয়ে কম পরীক্ষা নিরীক্ষা কম করেন না। কিন্তু নিজেদের পছন্দের তারকাদের অন্ধভাবে অনুসরণ না করে বরং একটু যুক্তি খাটিয়ে বেছে নিন নিজের পুজোর চুলের ছাট। প্রত্যেক মানুষের মুখের আদল বা গঠন আলাদা আলাদা। সেই অনুযায়ী বেছে নেওয়া উচিত নিজের জন্য মানানসই চুলের ছাট। আপনার মুখ যদি চৌকো আকৃতির হয় তবে আপনার জন্য যে চুলের ছাট মানানসই হবে, গোলাকৃতি মুখাবয়ব যুক্ত কোনো মানুষের জন্য চুলের ছাট হবে সম্পুর্ন আলাদা। তাই এবার পুজোয় চুল কাটার জন্য দরকারে পরামর্শ নিন বিশেষজ্ঞদের। হুটহাট কারোর চুলের ছাট দেখে সেটা নিজের জন্য বেছে নেওয়া হবে বোকামি। আসুন জেনে নি কোন বিশেষ মুখাবয়বের সঙ্গে কোন বিশেষ চুলের ছাট হবে মানানসই।
আরও পড়ুন- হালকা সাজেই পুজোয় হয়ে উঠুন মোহময়ী
চৌকো মুখাবয়বের জন্য :- যাদের মুখাবয়ব চৌকো, তারা চুলের ছাট একটু ছোটর দিকে হওয়াই বাঞ্চনীয়। যদিও চুলের ধরণের ওপর ও চুলের ছাট নির্ভর করে। যাদের চুল একটু সোজার দিকে তারা ওপর দিকে বড় রেখে নিজের দিকে একটু ছোট করে দিলেই দেখতে ভালো লাগবে। আর চুল যদি ঢেউ খেলানো হয় তবে মাঝের চুল স্বাভাবিক রেখে দুদিকে হালকা ট্রিম করে রাখতে পারেন।
ডিম্বাকার মুখাবয়বের জন্য :- যাদের মুখাবয়ব ডিম্বাকৃতি তাদের মাথায় যে কোনও ধরণের চুল মানানসই হতে পারে। কিন্তু বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গেলে ব্যাপারটি ঘেঁটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চুল যদি ঘন ও কোঁকড়া হয় তবে সবদিক একই উচ্চতায় কেটে নেওয়া বাঞ্চনীয়। সোজা চুল হলে ওপরের দিকে কিছুটা ছাড় দিয়ে রাখতে পারেন। অর্থাৎ মাথার ওপরের চুল একটু লম্বা রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন- এবার পুজোয় ফ্যাশনে 'ইন' থাকার জন্য ড্রেসের সঙ্গে চাই ই মানান সই ব্যাগ
গোলাকার মুখাবয়বের জন্য:- যাদের মুখ গোলাকৃতি তাদের চুল আঁচড়ে কপালে ফেলে রাখাই ভালো। চুল সোজা হলে তাদের পেছন থেকে দুপাশে কাটতে হবে ছোট করে। ঘন কোঁকড়া চুল হলে খানিকটা লম্বা।