কলকাতায় প্রতি বছরই দুর্গাপুজোতে থিম নিয়ে যেমন চিন্তাভাবনা চলে, তেমনই তার পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসার মতো বিভিন্ন ধরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও রাখা হয়। কিন্তু ছোটদের একটি বিষয় নিয়ে অনেকেই হয়তো মাথা ঘামান না। আর তা হল ভিড়ে মধ্যে স্তন্যদানের বিষয়টি। পুজোতে আরাধ্য দেবতার জন্য থাকে ভোগ, দর্শনার্থীদের জন্য থাকে অসংখ্য খাবারের দোকান। কিন্তু এই সবের মধ্যে ক্ষুদেদের খিদে পেলে কোথায় শিশুটির মা স্তন্যপান করাবেন, তা ভাবতে ভাবতেই চলে যায় অনেকটা সময়। এই সমস্যার সমাধান কি পাওয়া যায় সবসময়। বহু দর্শনার্থীই আসেন দূর-দূরান্ত থেকে। অনেক সময় এই সমস্যার কারণেই দুধের শিশু নিয়ে তাদের মায়েরা পুজোর ভিড়ে বের হতে চান না। তারই সঙ্গে থাকে আরও নানান অসুবিধাও। তবে বোধহয় এবারের দুর্গাপুজোয় সেই চিন্তা ভাবনা থেকে অনেকেই মায়েরাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন। কিভাবে জেনে নেওয়া যাক-
শিশুদের নিয়ে ভিড়ের মধ্যে মায়েদের ঠাকুর দেখতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে জন্য এই বছর দুর্গাপুজোর মণ্ডপের পাশে শিশুদের স্তন্যদানের ব্যবস্থা রাখছে শহরের অন্তত তিনটি পুজো কমিটি। আহিরিটোলা সর্বজনীন, সল্টলেক এফডি এবং চক্রবেড়িয়া সর্বজনীন, এই তিনটি পুজো কমিটিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসেছে 'ফেস্টিভ্যাল এক্সপিরেনসিয়া' নামে একটি সংস্থা। একটি পোর্টাল খোলা হয়েছে সেখানে। যেখানে চোখ রাখলে ঘরে বসেই দেখা যাবে এই তিনটি পুজো কমিটির অষ্টমীর অঞ্জলি, ভোগ খাওয়া, ধুনুচি নাচ, সিঁদুরখেলা,পুজোর প্রেম থেকে কলকাতা পুলিশের তদারকি আরও অনেক কিছু। তাও আবার সরাসরি, লাইভ। পোর্টালটির নাম দেওয়া হয়েছে 'মহা উৎসব অনলাইন'।
ইতিমধ্যেই সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গিয়েছে, 'ফেস্টিভ্যাল এক্সপিরেনিসয়ার' উদ্যোগেই এবার ওই তিনটি পুজো কমিটিতেই এ বার থাকছে মায়েদের জন্য তাঁদের শিশুদের স্তন্যদানের ব্যবস্থা। কিছু বছর আগে কলকাতারই একটি শপিং মলে একবার এক মহিলাকে তার সন্তানকে স্তন্যদানে নিষেধ করেছিলেন মলের নিরাপত্তারক্ষীরা। সেটা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কও হয়েছিল। আর সেই সব দিক থেকেই চিন্তা ভাবনা করেই, এ বার শহরের পুজো কমিটিগুলি মণ্ডপের পাশে শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পানের ব্যবস্থা করেছে। বেঙ্গল চেম্বার অফ কর্মাসের বেঙ্গল লাউঞ্জে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে 'মহা উৎসব অনলাইন' উদ্বোধন করা হয় বলে জানা যায়।