অনেকসময়েই শরীরের যে কোনও জায়গায় ব্যথা পেলে রক্ত জমাট বাঁধে। আর এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু কোনও কারণ ছাড়াই রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধলে তা যথেষ্ঠ চিন্তার কারণ। এর ফলে হৃদপিন্ডে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পরিবহনে সমস্যা হয়, এবং ফুসফুসের ক্ষতি করে। শরীরে এরকম দেখলে সাবধান হোন আগে থেকেই।
অনেকসময়েই শরীরের যে কোনও জায়গায় ব্যথা পেলে রক্ত জমাট বাঁধে। আর এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু কোনও কারণ ছাড়াই রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধলে তা যথেষ্ঠ চিন্তার কারণ। এর ফলে হৃদপিন্ডে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পরিবহনে সমস্যা হয়, এবং ফুসফুসের ক্ষতি করে। শরীরে এরকম দেখলে সাবধান হোন আগে থেকেই। শরীরের যে কোনও জায়গায় ব্যথা পেলে রক্ত জমাট বাঁধে। আর এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু কোনও কারণ ছাড়াই রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধলে তা যথেষ্ঠ চিন্তার কারণ। শরীরের যে কোনও জায়গায় রক্ত জমাট বাঁধাটাই একটা বড় সমস্যা। এর থেকে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে যে কোনও সময়ে। হার্টে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার বিষয়ে আমরা প্রত্যেকেই কম-বেশি জানি। তবে শুধু হার্টে নয়, শরীরের যে কোনও জায়গায় রক্ত জমাট বাধলেও সাবধান হোন এখনই।
অকারণে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধলে হৃদপিন্ডে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পরিবহনে সমস্যা হয়, এবং ফুসফুসের ক্ষতি করে। কোনও কারণ ছাড়াই শরীরে রক্ত জমাট বাঁধলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। রক্ত মূলত হাত ও পায়ের শিরাতে জমাট বাঁধে। একে ডিপ ভেইন থ্রমবসিস বলে। এইভাবে রক্ত জমাট বাঁধা খুবই ভয়াবহ, কারণ এরা সহজেই হার্ট বা ফুসফুসে পৌঁছতে পারে । ফোলা বা ব্যথা জায়গায় এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত হৃদপিণ্ডে রক্ত জমাট বাঁধে না। কিন্তু হার্টে রক্ত জমাট বাঁধলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বুক ব্যথা, নিঃশ্বাসে সমস্যা হার্টে রক্ত জমাট বাঁধার প্রধান লক্ষণ।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ডিপ ভেইন থ্রমবসিস থেকেই ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধার সূত্রপাত হতে পারে। এরকম হলে রোগীর নিঃশ্বাসে কষ্ট, বুকে ব্যাথা, কফের সঙ্গে রক্তপাতের মত উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অন্ত্রের শিরাতে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে তাদেরই এটা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এক্ষেত্রে পেটে ব্যথা, ডায়ারিয়া, মলের সঙ্গে রক্ত নিঃসরণের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে চিকিৎসকেরা আরও বলেছেন, রক্ত জমাট বাঁধলে তা যে সব সময় খারাপ পরিণতি হবে তা কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল। অনেক সময় রক্ত জমাট বাঁধলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। শরীরের কোনও অংশ কেটে গেলে রক্ত বের হয়। এবং তা যদি অতি দ্রুত জমাট বেঁধে যায় তাহলে রক্ত বের হওয়া বন্ধ হয়। যা শরীরের পক্ষে খুবই ভালো। কিন্তু শরীরের ভিতরে রক্ত জমাট বাঁধলেই বিপদ। হার্ট, মস্তিষ্ক-সহ একাধিক অংশে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। এক্ষেত্রে বড়সড় বিপদ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ শরীরের ভিতর রক্ত জমাট বাঁধলে তা নিজে থেকে ফের তরল হয় না। বাইরে থেকে কোনও ওষুধ প্রয়োগ করার পর তা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। এবং রক্ত জমাট বাঁধার পর শিরা ও ধমনীর মধ্যে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা দেখা যায়। যার ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে সঠিক ভাবে রক্ত পৌঁছয় না। বাড়তে থাকে বিপদ।