সারাক্ষণই মোবাইলে কিংবা কম্পিউটারে ব্যস্ত। কাজের প্রয়োজনে হোক কিংবা টাইমপাস। ডিজিট্যাল মাধ্যমে আপডেট থাকাই যেন নতুন প্রজন্মের কাছে হাল ফ্যাশন। যত দিন যাচ্ছে, তত মানুষ যেন মেশিনে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। সারাদিনের ২৪ ঘন্টা যেন কম হয়ে যাচ্ছে মানুষের জন্য। সারাদিনতো চলছেই, এর পাশাপাশি রাতের ঘুমোনোর সময়েও বাড়েছে এর প্রবণতা। যতক্ষণ ঘুম আসছে না ততক্ষণই চলতে থাকে ফেসবুক,হোয়াটস অ্যাপ আরও নানান সাইটে চোখ বোলানো। আর এর থেকেই ক্ষতি হচ্ছে শরীর-মস্তিষ্ক-চোখের।
মস্তিষ্কে চাপ বাড়ে
ঠিকমতো ঘুম না হলে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা কমতে শুরু করে। ফলে ধীর ধীরে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে। শুধু তাই নয়, ব্রেনের মধ্যে নানা সমস্যা শুরু হতে থাকে। ফলে মস্তিষ্কে নানা জটিল রোগ বাসা বাঁধে।
রাতের বেলা একদম নয়
অন্ধকারের মধ্যে মোবাইল ব্যবহার করলে মোবাইলের থেকে যে নীল আলো বের হয় তা চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। সেই সঙ্গে শরীরের মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণও কমিয়ে দেয়। ফলে ঘুম আসতে চায় না। আর ঠিকমতো ঘুম না হলে শরীরে বাসা বাঁধে একের পর এক জটিল রোগ। এছাড়াও সেখান থেকে দেখা যায় শরীরের নানান সমস্যা। আপনারও যদি এই অভ্যেস থেকে থাকে তাহলে আজ থেকেই বন্ধ করুন এটি করা।
ক্যান্সারের প্রবণতা
মোবাইলের নীল আলোর কারণে মেলাটোনিন হরমোন নয়, তার পাশাপাশি সব হরমোন ক্ষরণেই বাঁধা আসতে থাকে। যার ফলে শরীরে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের ঘাটতি দেখা যায়, যা ক্যান্সার রোগে বিশেষত প্রস্টেট ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সারের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।
দৃষ্টিশক্তি কমে অন্ধত্ব আসতে পারে
একটানা মোবাইল ঘাটলে মোবাইলের নীল আলো সরাসরি চোখের উপর পড়ে। তারপর শুরু হয় চোখের ব্যথা। আর দীর্ঘদিন ধরে এটা হতে থাকলে একসময়ে দৃষ্টিশক্তি কমে গিয়ে অন্ধত্বও চলে আসতে পারে।
রেটিনার উপর চোট
অন্ধকারে মোবাইল ঘাটলে মোবাইলের নীল আলো সরাসরি চোখের উপর পড়ে। যার ফলে রেটিনার কর্মক্ষমতা কমতে শুরু করে। দীর্ঘদিন ধরে একটানা এই কাজ করেল অন্ধত্বও অনিবার্য। অন্ধত্বের মতো কঠিন রোগ থেকে বাঁচতে মোবাইল থেকে দূরে থাকুন।
আরও পড়ুন-বজ্রপাতে মৃত্যু থেকে বাঁচাবে এই অ্যাপ, বিপদের ৩০ মিনিট আগেই করবে সতর্ক...
কীভাবে মুক্তি পাবেন