
বার বার পার্লারে গিয়ে মুখের লোম পরিষ্কার করা শুধু সময়সাপেক্ষ নয়, অনেক সময় ব্যয়বহুলও বটে। উপরন্তু, নিয়মিত ওয়্যাক্সিং বা থ্রেডিং ত্বকে ব্যাথা, র্যাশ, জ্বালা, এমনকি পিগমেন্টেশনও ঘটাতে পারে। তাই আজকাল অনেকেই ভরসা রাখছেন প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরোয়া ফেসপ্যাকে।
রান্নাঘরের পরিচিত উপাদান আটা (গমের ময়দা) দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক নিয়মিত ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে মুখের অবাঞ্ছিত লোমের বৃদ্ধি কমে এবং ত্বকে ফিরে আসে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা। আসুন জেনে নি আটার এমনই কিছু ফেসপ্যাক তৈরির উপায় ও তার ব্যবহার পদ্ধতি।
১। আটা ও হলুদের ফেসপ্যাক – লোম কমাতে কার্যকর
উপকরণ সমূহ
* ২ চামচ আটা
* ১ চামচ দুধ বা দই
* এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো
* প্রয়োজনমতো জল
ব্যবহারবিধি
সব উপকরণ মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করলে মুখের লোমের বৃদ্ধি ধীরে ধীরে কমে আসবে।
২। আটা ও মধুর ফেসপ্যাক – ত্বকের কোমলতা ও ক্লিনজিংয়ের জন্য
উপকরণ সমূহ
* ২ চামচ আটা
* ১ চামচ মধু
* সামান্য জল
ব্যবহারবিধি
একটি বাটিতে সব কিছু মিশিয়ে নিন। এবার ভালো করে তা গোটা মুখে মেখে নিন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
সতর্কতা
মুখ শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাই পরে অবশ্যই ফেসক্রিম ব্যবহার করুন।
৩। আটা ও বেসনের ফেসপ্যাক – ট্যান দূর করে উজ্জ্বলতা ফেরায়
উপকরণ সমূহ
* ১ চামচ আটা
* ১ চামচ বেসন
* ১ চামচ দুধ বা দই
ব্যবহারবিধি
ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
ট্যান দূর হয়ে মুখের ন্যাচারাল গ্লো ফিরে আসবে।
আটার ফেসপ্যাক ব্যবহারের আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে -
* প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ২-৩ বার এই প্যাকগুলি ব্যবহার করতে হবে।
* একটানা বেশ কয়েকদিন ব্যবহার করলে মুখে লোম গজানো কমবে।
* একটানা বেশ কয়েকদিন ব্যবহার না করলে সুফল পাবেন না।
* এই ধরনের ফেসপ্যাক তোলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত তাড়াহুড়ো করবেন না। তাতে ত্বকের ক্ষতি হবে।
* ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ফেসক্রিম ব্যবহার করতেই হবে।