ফোন করলেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে মিষ্টান্ন, হাতে পাবেন বর্ধমানের বিখ্যাত সীতাভোগ,মিহিদানা

Published : Dec 22, 2025, 05:56 PM IST
Nolen gur added to Sitabhog and Mihidana in Burdwan

সংক্ষিপ্ত

বর্ধমান মানেই মিষ্টি প্রেমীদের কাছে এক অন্যরকম ইমোশন। আর সেই ইমোশনে আসে মিষ্টির জগতের দুই সম্রাট সীতাভোগ ও মিহিদানা। আর এই মিষ্টান্ন এখন একটা ফোনেই পৌঁছে যাবে আপনার দোরগোড়ায়।

বর্ধমানের বিখ্যাত সীতাভোগ এখন ঘরে ঘরে পৌঁছানোর জন্য মিষ্টির দোকানগুলো বড় উদ্যোগ নিয়েছে।যেখানে শুধুমাত্র একটি ফোন কল বা অর্ডারের মাধ্যমে বর্ধমানের বাইরেও, এমনকি অন্য শহরেও নলেন গুড়ের বা সাধারণ সীতাভোগ অর্ডার করা যাচ্ছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিশেষত শীতকালে নলেন গুড়ের সীতাভোগের চাহিদা মেটাতে 'নেতাজি মিষ্টান্ন ভান্ডার'-এর মতো দোকানগুলি হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করেছে, যাতে দূর থেকেও বর্ধমানের ঐতিহ্যবাহী এই মিষ্টির স্বাদ পাওয়া যায়, যা 'ডাক বিভাগ'-এর বিশেষ ডাকটিকিট প্রকাশ এবং অন্যান্য দোকানের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ছে।

*মূল বিষয়*:

হোম ডেলিভারি: 'নেতাজি মিষ্টান্ন ভান্ডার'-এর মতো দোকানগুলি ফোন বা অনলাইন অর্ডারে সীতাভোগ সরাসরি বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে।

শীতকালীন বিশেষত্ব: নলেন গুড়ের সীতাভোগের চাহিদা থাকায়, শীতকালে এই বিশেষ পরিষেবা চালু হয়েছে।

জাতীয় স্বীকৃতি: ভারত ডাক বিভাগ বর্ধমানের সীতাভোগ ও মিহিদানা নিয়ে বিশেষ ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে, যা তাদের জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়েছে।

ঐতিহ্য ও ইতিহাস: সীতাভোগ একটি শতাব্দী প্রাচীন মিষ্টি, যা গোবিন্দভোগ চাল, ছানা ও চিনি দিয়ে তৈরি এবং এর জিআই ট্যাগও রয়েছে।

*বিস্তারিত আলোচনা*:

১. নতুন উদ্যোগের প্রেক্ষাপট:

সীতাভোগ ও মিহিদানা বর্ধমানের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি, যা আগে শুধু স্থানীয়ভাবে পরিচিত ছিল। এখন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা এই মিষ্টিকে দেশজুড়ে পৌঁছে দিতে আগ্রহী।

'নেতাজি মিষ্টান্ন ভান্ডার'-এর মতো দোকানগুলো এই প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিচ্ছে, যাতে যারা বর্ধমানে আসতে পারেন না, তারাও এই মিষ্টির স্বাদ নিতে পারেন।

২. ডেলিভারি পদ্ধতি:

ক্রেতারা ফোনে বা অনলাইনে অর্ডার করতে পারেন। কল করে অর্ডার।

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার।

বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে (হোম ডেলিভারি)

৩. সীতাভোগের বিশেষত্ব:

উপকরণ: গোবিন্দভোগ চালের গুঁড়ো, ছানা (ছানা), চিনি ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে তৈরি।

ছোট চাল বা গুলাব জামুনের টুকরোর মতো দেখতে, যা পোলাওয়ের মতো লাগে।নলেন গুড়ের সীতাভোগ শীতকালে খুব জনপ্রিয়।

৪. প্রচার ও প্রসারের মাধ্যম:

ডাক বিভাগের উদ্যোগ: ডাক বিভাগ সীতাভোগ ও মিহিদানা নিয়ে বিশেষ কভার ও ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে, যা এই মিষ্টির ব্র্যান্ডিংয়ে সাহায্য করছে।

মিষ্টির দোকান: Ganesh Mistanna Bhandar, Radhaballav Mistanna Bhandar-এর মতো বিখ্যাত দোকানগুলোও এই প্রচারে অংশ নিচ্ছে।

৫. উপকারিতা:

সীতাভোগের মতো ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি এখন ঘরে বসেই পাওয়া যাচ্ছে।

শীতকালে নলেন গুড়ের সিজনে এর চাহিদা অনেক বেশি।

এই উদ্যোগের ফলে, বর্ধমানের সীতাভোগ এখন আর শুধু একটি স্থানীয় মিষ্টি নয়, বরং এটি সারা দেশের মিষ্টিপ্রেমীদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

শীতের দিনে মা ঠাকুমাদের মত নরম তুলতুলে পিঠে পুলি বানানোর জন্য জানুন কয়েকটি টিপস
শীতে মাছ মাংসের সঙ্গী হোক পালং শাক, এর সঙ্গে রইল রকমারি রান্নার কিছু টিপস্