
ফিট ও সুঠাম চেহারার জন্য সকালের জলখাবারে স্বাস্থ্যকর খাবার রাখা জরুরি অতি জরুরি। যেমন প্রোটিন, ফাইবার, এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ পদ। এই ধরনের খাবারে ডালিয়া, ওটস, ডিম, ফলমূল, এবং দই রাখা যেতে পারে, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।
* শরীরের শক্তি যোগায়: রাতের খাবারের পর দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার পর শরীরকে নতুন করে শক্তি জোগানোর জন্য জলখাবার অপরিহার্য।
* মেটাবলিজম বাড়ায়: একটি স্বাস্থ্যকর জলখাবার মেটাবলিজম বা বিপাক ক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ।
* মনকে সতেজ রাখে: সুষম জলখাবার মনকে সতেজ রাখে এবং দিনের শুরুতে ভালো লাগা তৈরি করে।
* ডালিয়া বা ওটস: এগুলি ফাইবারে ভরপুর, যা হজমশক্তি বাড়ায় এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে।
* পোহা : রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখাতে বিশেষ কার্যকরী এই এক পদ। পোহা যদি সঠিকভাবে বানানো যায়, তাহলে তার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স নেমে আসে একেবারে তলানিতে। সঙ্গে থাকে উচ্চ মাত্রার ফাইবার। এতে মটরশুঁটি, গাজর, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি সবজি মেশানো যায়। শেষে লেবুর রস চিপে দিলে মেটে ভিটামিন সি-এর চাহিদা। চিনাবাদাম ছড়িয়ে দিলে বাড়বে প্রোটিন ও হেলদি ফ্যাটের মাত্রা।
* ডিম: ডিম প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস, যা পেশী গঠনে এবং শরীরকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
* ফল ও দই: ফলমূল ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, এবং দই প্রোবায়োটিকস সরবরাহ করে যা হজমতন্ত্রের জন্য উপকারী।
* ইডলি-সম্বর : দক্ষিণ ভারতের এই পদ বেশ প্রসিদ্ধ বাংলাতেও। ফারমেন্টেড খাবার যেমন ইডলি-ধোসা হজমশক্তি ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, যা পরোক্ষভাবে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ইডলির সঙ্গে সম্বর বা রসম খেলে ডালের প্রোটিন তৃপ্তি বাড়ায় এবং গ্লুকোজ শোষণ কমায়।
* মুগ ডালের চিলা পনিরের ফিলিংসহ : কম কার্ব, বেশি প্রোটিন—এই খাবারটি একদম পারফেক্ট। মুগ ডাল ও পনিরের মিশ্রণে তৈরি এই চিলা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না এবং বেশিক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে।
* বাদাম ও বীজ: এগুলি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিন সরবরাহ করে।
* পুষ্টিকর সবজি: আপনি আপনার জলখাবারে সবজিও যোগ করতে পারেন, যেমন পালংশাক বা অন্য কোনো সবজি দিয়ে তৈরি অমলেট।
সবজির অমলেট বা ডিমের কুসুম ছাড়া অমলেট।
ফলমূল দিয়ে তৈরি ওটসের সাথে বাদাম ও বীজ।
সবজি ও ডাল দিয়ে তৈরি খিচুড়ি।
ফলমূল এবং দই।