
রান্না করতে গিয়ে সামান্য খোসাও ফেলে দিতে যেন গায়ে লাগে। সেই দিয়েই অনেকে বানিয়ে ফেলেন খোসা বাটার সুস্বাদু রেসিপি। খোসা বাটা নানা সবজির খোসা দিয়েই বানানো যায়। তার মধ্যে লাউ, পটল, ঝিঙে, কাঁচকলার খোসা যেন একটু বেশি বিখ্যাত। এই সবজির খোসাই বেশি করে বাটা হয়। তার মানানসই ফোড়ন দিয়ে রেঁধে ফেলা হয় খোসা বাটা। কিন্তু তা করলেই কি হল। সে বাটা তো সবার মুখরোচক করে তোলা চাই।
এছাড়া বাটা সবাই খেতে চায় না। তাই সবজির খোসা দিয়ে নতুন নতুন কিছু রেসিপি বানানো যায় ।
১. আলুর খোসার চিপস: প্রতিটা বাড়িতেই কমবেশি আলু খাওয়া হয়। আর আলু এমনই একটি জিনিস যেটা সমস্ত সবজি থেকে শুরু করে মাছ বা মাংস করলেই আলু লাগে সুতরাং সেই আলুর চোখ লাগুলো বেকার হয় এবং আমরা সেটা ফেলে দি। এবার ওটাকে না ফেলে ফ্রাই করে খেয়ে দেখুন। অলিভ অয়েল, লবণ ও মশলা দিয়ে ওভেনে ক্রিস্পি করে নিলেই তৈরি সুস্বাদু আলুর খোসার চিপস।
২. লাউয়ের খোসার চাটনি: লাউয়ের খোসা ভাজা কালোজিরা ফোড়ন দিয়ে আমরা অনেকেই খেয়েছি। এটা খুবই চেনা পরিচিত রেসিপি এবং অনেকেই খেয়ে থাকেন। কিন্তু কখনো লাউয়ের খোসার চাটনি খেয়েছেন কি তাহলে বানান এইভাবে! লাউয়ের খোসা সেদ্ধ করে নারকেল, সর্ষে আর কাঁচা লঙ্কা দিয়ে বাটলে হয় একটা দারুণ চাটনি।
৩. গাজরের খোসার পকোড়া: বাড়িতে চায়ের সাথে পকোড়া খেতে কে না ভালোবাসে। সে ক্ষেত্রে আলু বা গাজর বা বিভিন্ন সবজির পকোড়া আমরা বানিয়ে থাকি কিন্তু সবজির খোসা গুলো আমরা ফেলে দিই। তাহলে এবার সেটা না করে গাজর যদি থাকে তাহলে গাজরের চোকলা দিয়ে পকোড়া বানিয়ে খান। বেসন, মশলা মিশিয়ে গরম তেলে ভেজে নিলে চায়ের সঙ্গে জমবে দারুণ গাজরের খোসার পকোড়া।
৪. পটলের খোসার ভর্তা: গরম গরম ভাতে বাড়িতে পটলের খোসা বাটা মাখা খেয়ে দেখুন। এটা এক দারুন রেসিপি। সর্ষের তেল, কাঁচা লঙ্কা ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ম্যাশ করে পটলের খোসার ভর্তা বানিয়ে নিতে পারেন।
৫. করলার খোসার ফ্রাই: করোলা এক একটি তিতো, তাই বাচ্চারা খেতে চায়না, আবার বড়রাও কেউ কেউ খায় তো কেউ কেউ খায় না। আর করলার কোন কিছুই ফেলা যায় না তাই করলার খোসা দিয়ে একটা ফ্রাই করে খান। করলার খোসার সঙ্গে হালকা বেসন মাখিয়ে ভেজে নিলে মেলে ক্রাঞ্চি আর হেলদি স্ন্যাক্স।