
বাড়িতে বানিয়ে নিন কেরালা স্টাইল চিংড়ি তোক্কু। রইল সহজ রেসিপির হদিশ। দেখে নিন এক ঝলকে।
চিংড়ি ভেজানোর জন্য:
পরিষ্কার করা চিংড়ি - ৫০০ গ্রাম
হলুদ গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ
কাঁচা মরিচ গুঁড়ো - ১ চা চামচ
নুন - ১/২ চা চামচ
লেবুর রস - ১ চা চামচ
মশলা বাটার জন্য:
ছোট পেঁয়াজ - ১০-১২ টি
আদা - একটি ছোট টুকরো
রসুন - ৬-৮ কোয়া
করিপাতা - ১ মুঠো
কাঁচা মরিচ - ২ টি
ধনে গুঁড়ো - ১ ½ চা চামচ
কাঁচা মরিচ গুঁড়ো - ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো - ১/৪ চা চামচ
গরম মশলা - ১/২ চা চামচ
নারকেলের দুধ - প্রথম দুধ আধা কাপ, দ্বিতীয় দুধ ১ কাপ
ঝাঁক দেওয়ার জন্য:
নারকেল তেল - ২-৩ টেবিল চামচ
সরিষা - ১/২ চা চামচ
মেথি - ১/৪ চা চামচ
শুকনো মরিচ - ২ টি
কারিপাতা - কিছুটা
বড় পেঁয়াজ - ১ টি (কুঁচি)
টমেটো - ১ টি (কুঁচি)
নুন- পরিমাণমতো
ধনেপাতা - কিছুটা
প্রণালী:
চিংড়ি ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে, হলুদ গুঁড়ো, কাঁচা মরিচ গুঁড়ো, নু এবং লেবুর রস দিয়ে মাখিয়ে ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। একটি কড়াইয়ে কিছুটা নারকেল তেল গরম করে, ছোট পেঁয়াজ, আদা, রসুন, কাঁচা মরিচ, করিপাতা দিয়ে সোনালি করে ভেজে নিন। পেঁয়াজ ভাজা হলে, আঁচ কমিয়ে ধনে গুঁড়ো, কাঁচা মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, গরম মশলা দিয়ে ১ মিনিট কাঁচা গন্ধ চলে যাওয়া পর্যন্ত ভেজে নিন। মশলা পুড়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ভাজা মশলা ঠান্ডা করে মিক্সিতে কিছুটা নারকেলের দুধ (দ্বিতীয় দুধ) দিয়ে বেটে নিন। প্রয়োজনে আরও কিছু দ্বিতীয় দুধ দিতে পারেন।
তোক্কু তৈরির পদ্ধতি:
একটি চওড়া কড়াই বা প্যানে নারকেল তেল গরম করুন। তেল গরম হলে, সরিষা, মেথি, শুকনো মরিচ, করিপাতা দিয়ে ঝাঁক দিন। সরিষা ফুটে উঠলে এবং মেথি লাল হয়ে গেলে আঁচ কমিয়ে দিন। এবার কুঁচি করা বড় পেঁয়াজ দিয়ে সোনালি করে ভেজে নিন। পেঁয়াজ ভাজা হলে, কুঁচি করা টমেটো দিয়ে নরম হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিন। টমেটো ভালো করে মিশে গেলে, পরিমাণমতো লবণ দিন। ভাজা মিশ্রণের সঙ্গে বাটা মশলা দিয়ে দিন। ভালো করে নাড়ুন, মশলার কাঁচা গন্ধ চলে যাওয়া পর্যন্ত ২-৩ মিনিট ভেজে নিন।
এবার ভেজানো চিংড়ি দিয়ে, মশলার সাথে ভালো করে মিশিয়ে দিন। এর সঙ্গে বাকি নারকেলের দুধ (দ্বিতীয় দুধ) দিয়ে মিশিয়ে, আঁচ মাঝারি করে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। চিংড়ি সেদ্ধ হয়ে, মশলা ঘন হয়ে, তেল ছেড়ে আসা পর্যন্ত ৭-১০ মিনিট রান্না করুন। (চিংড়ি বেশি সেদ্ধ না করার দিকে খেয়াল রাখবেন, বেশি সেদ্ধ হলে রাবারের মতো হয়ে যাবে)। শেষে, প্রথম নারকেলের দুধ দিয়ে, একবার নাড়ুন, এক ফোঁটা ফুটে উঠলে আঁচ বন্ধ করে দিন। প্রথম দুধ দেওয়ার পর বেশি ফোটাবেন না, কারণ দুধ ফেটে যেতে পারে। কুঁচি করা ধনেপাতা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। সুস্বাদু কেরালা স্পেশাল নারকেল দুধের চিংড়ি তোক্কু তৈরি।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
চিংড়ি পরিষ্কার করার সময় পিঠের কালো অংশ বাদ দিন। এটি মাটির গন্ধ আসতে দেয় না। নারকেলের দুধ প্রথম দুধ, দ্বিতীয় দুধ আলাদা করে দেওয়ার ফলে তোক্কুর স্বাদ এবং ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। ঝাল আপনার পছন্দমতো কাঁচা মরিচ এবং কাঁচা মরিচ গুঁড়োর পরিমাণ পরিবর্তন করতে পারেন। নারকেল তেল ব্যবহার করলে কেরালার স্বতন্ত্র স্বাদ পাওয়া যায়। অন্য তেল ব্যবহার করলে স্বাদ কিছুটা পরিবর্তিত হবে। এই নারকেল দুধের চিংড়ি তোক্কু, কেরালার রান্নার সুঘ্রাণ এবং স্বাদ আপনার বাড়িতে নিয়ে আসবে! এই সপ্তাহান্তে এই রেসিপিটি চেষ্টা করে দেখুন।