কালোজিরা সর্দি, কাশি, ডায়াবেটিস এবং হার্টের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক নাইজেলা বীজের উপকারিতা সম্পর্কে।
নাইজেলা ম্যাঙ্গারাইল বা নাইজেলা স্যাটিভা এগুলি বাংলায় কালোজিরার বীজ নামে পরিচিত। কালোজিরার বীজে ছোট কালো। কালোজিরা ভারতীয় মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই মশলার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। কালোজিরার বীজ যে কোনও কিছুর স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করে। কালোজিরা বীজ বেশিরভাগ আচার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্কের উপাদান কালোজিরায় পাওয়া যায়। অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা এড়াতে কালোজিরা ব্যবহার করা হয়। কালোজিরা সর্দি, কাশি, ডায়াবেটিস এবং হার্টের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক নাইজেলা বীজের উপকারিতা সম্পর্কে।
কালোজিরা বা এর তেল ব্যবহারে এই ৬ আশ্চর্যজনক সুবিধা পাওয়া যায়:
১) সর্দি এবং কাশি:
কালোজিরায় তেল সর্দি-কাশিতে উপকারী বলে মনে করা হয়। ঠান্ডা লাগলে কালোজিরা বা এর তেল গরম করে এর সুগন্ধ নিলে সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
২) ডায়াবেটিস:
কালোজিরার তেল ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। এক কাপ লিকার চায়ের সঙ্গে এর তেল মিশিয়ে পান করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
৩) চুলের যত্নে:
চুল পড়ার সমস্যায় কালোজিরার তেল খুবই উপকারী। কালোজিরার তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে চুল পড়া কমে যায়।
৪) পিম্পলস:
ব্রণের সমস্যায় লেবুর রসের সঙ্গে কালোজিরার তেল মিশিয়ে লাগালে ত্বক নরম ও ব্রণমুক্ত হয়।
৫) হার্ট সুস্থ রাখতে:
হার্টের সমস্যা হলে গরম জল বা চায়ের সঙ্গে কালোজিরার তেল মিশিয়ে পান করলে হার্ট সুস্থ থাকে। কালোজিরায় বীজ হার্টের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়।
৬) ওজন হ্রাস:
কালোজিরায় বীজও ওজন কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। কালোজিরার তেল মধু ও গরম জলে মিশিয়ে পান করলে চর্বি ঝরে যায়। যা স্থূলতার সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
দাবিত্যাগ: এই বিষয়বস্তু, পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে। এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।