
Health Tips: গ্রীষ্মকাল মানেই আমের ঋতু। পাকা রসালো আম কার না ভালো লাগে? তবে অনেক সময় বড়দের দেখে থাকবেন আম খাওয়ার আগে অন্তত আধ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখতে। আপনিও হয়তো এই অভ্যাসে অভ্যস্ত তবে অনেকেই আছেন যারা এই পরামর্শ মানেন না, গুরুত্বও দেন না। কিন্তু এই অভ্যাস শুধুই প্রাচীন রীতি নয়, এর পেছনে রয়েছে পরিষ্কার বৈজ্ঞানিক ও স্বাস্থ্যগত কারণ। আসুন জেনে নি খাওয়ার আগে কিছুক্ষণ হলেও আম জলে ভিজিরে রাখবেন কেন-
১) আমের খোসায় ফাইটিক অ্যাসিড নামের এক ধরনের অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্ট রয়েছে। এই ফাইটিক অ্যাসিড শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। এটি শরীরকে পুষ্টি শোষণে বাধা দেয়। আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান শোষণে বাধা দেয় ফাইটিক অ্যাসিড। আমকে জলের ভিতর ডুবিয়ে রাখলে এই ফাইটিক অ্যাসিড দূর হয়ে যায়। তারপর আম খাওয়া নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকও।
২) আমের খোসায় এমন অনেক ক্ষতিকারক উপাদান রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়। এমনকি এর থেকে ত্বকেরও সমস্যা হতে পারে। ব্রণ, ৱ্যাশ, অন্ত্রের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এড়াতে আম জলে ভিজিয়ে রেখে তারপরেই খাওয়া উচিত।
৩) আজকাল বাজারে যে সব শাকসবজি, ফল পাওয়া যায়, বেশিরভাগই রাসায়নিক উপাদান দিয়ে পাকানো হয়, যেমন- কার্বাইড। আবার চাষের সময় কীটনাশকও প্রয়োগ করা হয়। দেখতে ভালো থাকবে বলে সরাসরি আমের উপরও অনেক ধরনের রাসায়নিক প্রয়োগ করা হয়। এগুলো না ধুয়ে বা আম না ভিজিয়ে রেখে খেলে শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথার সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। জলের মধ্যে আম ঘণ্টাখানেক ডুবিয়ে রাখলে এসব ক্ষতিকারক উপাদান পরিষ্কার হয়ে যায়।
৪) আম খেলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু গরমে শরীরকে যত ঠান্ডা রাখবেন, ততই ভাল। আমকে ঘণ্টাখানেক জলে ভিজিয়ে রেখে খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে।
৫) আমের মধ্যে ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে। এই রাসায়নিক উপাদান শরীরে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি করে। আম খেয়ে মোটা হতে না চাইলে জলে ভিজিয়ে রাখুন। আম জলে ভিজিয়ে রাখলে এই ফাইটোকেমিক্যালের ঘনত্ব কমে যায়। এরপর আম খেলে ফ্যাট জমার সম্ভাবনাও কমে যায়।
কখনও ভেবে দেখেছেন আম খাওয়ার আগে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখা হয় কেন? আসলে এমনটা না করলে আম খাওয়া কাল হয়ে দাঁড়াবে আপনার।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।