
বাদামের আকার ছোট হলেও, এতে পুষ্টির ভাণ্ডার লুকিয়ে থাকে। চমৎকার স্বাদ এবং স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর হওয়ার কারণে এটি রান্নাঘরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্ন্যাক্স হিসেবে খাওয়া হোক বা খাবারের স্বাদ বাড়ানো হোক, এর ব্যবহার অবশ্যই করা হয়। বাদাম প্রতিটি খাবারের স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে দেয়।
বাদামে ভিটামিন ই, ফাইবার, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, আয়রন, পটাশিয়াম, জিঙ্ক এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। এটি নিয়াসিন, থায়ামিন এবং ফোলেটেরও উৎস। আসুন জেনে নিই বাদাম খাওয়ার উপকারিতা।
মজবুত হাড়: ম্যাঙ্গানিজ হাড় মজবুত করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য: বাদাম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা না লাগা: এতে থাকা প্রোটিন এবং ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে কাঁচা বাদামের তুলনায় ভিজানো বাদাম বেশি উপকারী। কাঁচা বাদামের বাদামী খোসায় ট্যানিন থাকে, যা পুষ্টি উপাদান শোষণে বাধা দেয়। ভিজিয়ে রাখলে এই খোসা সরে যায়, যার ফলে শরীর বাদামের সমস্ত পুষ্টি উপাদান সহজেই পায়। এছাড়াও, ভিজানো বাদাম নরম এবং সহজে হজম হয়।
যদি আপনি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তবে ভিজানো বাদাম স্ন্যাকিংয়ের জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে। এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা অস্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও, ভিজানো বাদাম খেলে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে, যা হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে। এতে থাকা ভিটামিন ই শরীরে থাকা ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং প্রদাহ কমায়। বাদামে ভিটামিন বি১৭ পাওয়া যায়, যা ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
এক মুঠো বাদাম নিন এবং আধা কাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন। এটি ৬-৮ ঘন্টা বা সারারাত ঢেকে রাখুন। জল ঝরিয়ে বাদামের খোসা ছাড়িয়ে নিন। আপনি চাইলে প্রতিদিন এই প্রক্রিয়াটি করতে পারেন। নাহলে বাদামের খোসা ছাড়িয়ে বাতাস বন্ধ পাত্রে রেখে ২-৩ দিন ব্যবহার করতে পারেন।