
খোসার রঙ উপর নির্ভর করে মুরগির ওপর। কোন পুষ্টির উপাদানের ওপরে নয়। কারণ নেপথ্যে রয়েছে মুরগির জিনগত বৈশিষ্ট্য। এর ফলে সাধারণত যে সমস্ত মুরগি সাদা বা হালকা রঙের পালকের রয়েছে তারা মূলত সাদা ডিম পাড়ে। অন্যদিকে গাড়ো রঙের পালকের মুরগির ডিমগুলো লালচে রঙের হয়। তাই ডিমের খোসার উপরের রং তার পুষ্টিগুণ কখনোই নির্ভর করে না বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
সুতরাং, ডিমের রঙের উপর এর পুষ্টিগুণ নির্ভর করে না, বরং সাদা ও লাল ডিমের পুষ্টিগুণ প্রায় একই রকম। ডিমের খোসার রঙ নির্ভর করে মুরগির জিনগত বৈশিষ্ট্যের উপর, যার সাথে পুষ্টি উপাদানের কোনো সম্পর্ক নেই। উভয় রঙের ডিমই প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ এবং সুষম খাদ্যতালিকায় সমান উপকারী।
* পুষ্টিগুণ: একটি ডিমের খোসার রঙ যাই হোক না কেন, এর মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান প্রায় একই।
* প্রোটিন: ডিমের সাদা অংশে উচ্চমানের প্রোটিন থাকে, যা কুসুমের মোট প্রোটিনের অর্ধেকের বেশি।
* ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল: ডিমের কুসুমে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল থাকে।
* ভিটামিন ও খনিজ: ডিম ভিটামিন ডি, বি১২, রিবোফ্লাবিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা শক্তি যোগায় এবং চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
* খোসার রঙের কারণ: ডিমের খোসার রঙ মুরগির প্রজাতি এবং জিনগত বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে, এর সাথে পুষ্টিমানের কোনো সম্পর্ক নেই।
সাদা ডিমের মুরগি সাধারণত কম খায়, ফলে এদের পালন খরচ কম হয়, তাই সাদা ডিম কিছুটা কম দামে পাওয়া যায়।
লাল ডিমের মুরগিরা বেশি খায় এবং এদের পালন খরচ বেশি, তাই লাল ডিমের দাম বেশি হতে পারে।
সাদা ও লাল উভয় ডিমই পুষ্টির একটি চমৎকার উৎস এবং সুষম খাদ্যতালিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে যে লাল ডিমে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সামান্য বেশি থাকে, তবে এই পার্থক্য এতই সামান্য যে তা খুব বেশি প্রভাব ফেলে না।
অতএব, ডিমের রঙের ভিত্তিতে কোনটি বেশি উপকারী তা নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। আপনি নিশ্চিন্তে যেকোনো রঙের ডিম খেতে পারেন। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ডিমের পরিমাণ এবং তা খাওয়ার পদ্ধতি বেছে নিন, কারণ উভয় রঙের ডিমে থাকা পুষ্টি উপাদান প্রায় একই।