
Food Recipe: বাঙালির ঘরে প্রথম পাতে শাকসবজি বা তরী তরকারি হতেই হবে। সেই ক্ষেত্রে নিরামিষ বা আমিষের দিনে তড়িতরকারি না হলে চলে না। আর নিরামিষের দিনে তরকারির পদ আরো বেশি থাকে। পটলের তরকারি আমরা বিভিন্নভাবে খেয়েছি রোস্টেড পটল, দই পটল, সরষে পটল, ভাপা পটল, অনেক রকমই হয়ে থাকে। কিন্তু কখনো এইভাবেও পটল রান্না করে দেখুন। খুব অল্প সময়ে রান্না হয় এবং খেতেও দারুন সুস্বাদু। খুব অল্প উপাদান দিয়ে ঘরে আপনি চট জলদি নিরামিষ হোক বা আমিষের পাতে হোক গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতের সাথে পরিবেশন করতেই পারে না। তবে আর দেরি কেন আসুন জেনে নেওয়া যাক তিলেশ্বরী পটলের রেসিপিটা।
উপকরণ :-
* সরষের তেল ২৫ গ্ৰাম
* বাটার ১ টেবিল চামচ
* পটল ১০ টুকরো
* কালো জিরে ১ চা চামচ
* শুকনো লঙ্কা ২ টো
* ছোট এলাচ ২ টি
* দারচিনি ২ টুকরো
* সাদা তেল ২ টেবিল চামচ
* দুধ ১ কাপ
* সাদা সরষে ও কালো সরষে বাটা ২ টেবিল চামচ
* নাড়কেল কোড়া ১/২ কাপ
* কাঁচা লঙ্কা ৬ টি
* নুন ও চিনি স্বাদমতো
* প্রণালী :-
প্রথমে গ্যাসে কড়াই গরম করে তাতে দিতে হবে সরষের তেল। এরপর তেল গরম হলে বাটার দিয়ে ফোড়নে দিতে হবে কালো জিরে, শুকনো লঙ্কা, দারচিনি ও ছোট এলাচ। এরপর ফোড়ন টা ৩০ সেকেন্ড ফ্রাই করে নিতে হবে। তারপর দিতে হবে টুকরো করে রাখা পটল। পটল গুলো ভালো করে ভেজে নিতে হবে।
এরপর অন্য একটা কড়াইতে সাদা তেল গরম করে সাদা ও কালো সরষে, কাঁচা লঙ্কা, নাড়কেল কোড়া দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে ঠান্ডা করে মিহি একটা পেস্ট করে নিতে হবে। এরপর কড়াইতে আরও একটু সরষের তেল গরম করে মিশ্রণ দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে যতক্ষণ না মশলা থেকে তেল ছাড়ছে।
মশলা থেকে তেল ছাড়তে শুরু করলে ভাজা পটল ও দুধ দিয়ে ঢাকা দিয়ে রান্না করতে হবে ৭-৮ মিনিট লো – ফ্লেমে। ৭-৮ মিনিট পর ঢাকা খুলে দিতে হবে আর তার মধ্যে পটল সুসেদ্ধ হয়ে যাবে। এরপর স্বাদমতো নুন ও চিনি দিয়ে নাড়াচাড়া করে গ্যাস বন্ধ করে ওপর থেকে একটু কাঁচা সরষের তেল ছড়িয়ে দিলেই তৈরী হয়ে যাবে তিলেশ্বরী পটল। এরপর গরম গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতের সাথে নিয়ে খান ও পরিবারের সাথে উপভোগ করুন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।