দুর্গাপুজো বছরে এক বারই আসে। তাই সারা বছর ধরে অপেক্ষা থাকে পুজোর জন্য। এই উৎসবের আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় পোষাক, ফ্যাশন, মেক-আপ সবকিছু নিয়েই প্ল্যানিং। সারা বছর ব্যস্ততার মধ্যে খেয়াল থাকে না ওজন বেড়ে যাওয়ার। তাই সুন্দর ক্রপ টপ বা পিঠ খোলা ব্লাউজের মাঝে যদি উঁকি মারে মেদ, সেটা একেবারেই মানানসই নয়। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরেই পুজো। ইচ্ছে থাকলে এক মাসের মধ্যেই পেতে পারেন সুন্দর মেদবিহীন চেহারা। চলুন দেখে নিই কিছু প্ল্যান ও টিপস যার দ্বারা আপনি ঝরিয়ে ফেলতে পারেন শরীরের বাড়তি মেদ।
আরও পড়ুন কোন ধরনের চপিং বোর্ড স্বাস্থ্যের পক্ষে নিরাপদ! কাঠ না প্লাস্টিক
প্রথমেই নজর দিতে হবে খাদ্যতালিকাতে। সারাদিনে আপনি যতটা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার গ্রহন করছেন, সেই অনুযায়ী আপনাকে ক্যালোরি বার্ন ও করতে হবে। তবে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়ে যদি শুধু ক্যালোরি বার্ন করেন তাহলে ওজন তো কমবেই না, উল্টে আরো বাড়বে। আর সেই সঙ্গে দেখা দেবে কিডনি ও লিভারের সমস্যা। ভারী কিছু খাওয়ার থাকলে সেটা সকালের দিকে খেয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। প্রাতরাশে রাখতে পারেন ওটস বা দালিয়া জাতীয় জিনিস।ভাত বা রুটি জাতীয় জিনিস খেলে তার সঙ্গে রাখুন পর্যাপ্ত পরিমাণে শাক-সবজি। চিকেন, মাছ, বা ডিম-ও রাখতে পারেন।খুব বেশী তেল বা মশলা দেওয়া রান্না যেন না হয়।
সন্ধের পর বা রাতের দিকে বেশি ভারী খাবার, যেমন কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো।রাতের খাবার বেশি দেরিতে না খাওয়াই ভালো। ডিনারে যদি স্যুপ জাতীয় খাবার রাখতে পারেন তাহলে তো কোনও কথাই নেই। এছাড়া আপনার ডায়েট চার্টে রাখতে পারেন গ্রিন টি। দিনে দু-বারের বেশি গ্রিন টি খাওয়া ভালো নয়। আর একদম খালি পেটে গ্রিন টি নেওয়া উচিত নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া। তাড়াতাড়ি ওজন কমানোর জন্য দরকার দিনে তিন থেকে চার লিটার জল। এছাড়া চার্টে রাখতে হবে ডাবের জল। অ্যালকোহল পান করা চলবে না।
ডায়েটের পাশাপাশি জোর দিন ব্যায়াম বা যোগার দিকে। ঘরে বসে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন। এছাড়া স্কিপিং, জগিং বা সাইকেলিং করতে পারেন।
বেশি রাত পর্যন্ত জেগে থাকা উচিত নয়, দিনে ৭ থেকে ৮ ঘন্টার ঘুম খুব জরুরি।
এই সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে পারলে আপনিও পেয়ে যেতে পারেন সুন্দর তণ্বী চেহারা পুজোর আগে।