ভিটামিনের অভাব এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে মুখে ঘা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়াও, মুখের ভিতরের অংশ কামড়ে ফেললেও মুখে ঘা হতে পারে।
মুখের ঘা খুবই সাধারণ একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। তবে মুখ খুলতেও কষ্ট হয় এমন অসহ্য যন্ত্রণা হয় এর ফলে। ভিটামিনের অভাব এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে মুখে ঘা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়াও, দুর্ঘটনাক্রমে মুখের ভিতরের অংশ কামড়ে ফেললেও মুখে ঘা হতে পারে। এই ধরনের মুখের ঘা দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
১. নারকেলের দুধ
নারকেলের দুধ মুখে কুলকুচি করলে মুখের ঘা সারাতে সাহায্য করতে পারে। নারকেলের দুধের প্রদাহ-বিরোধী গুণাবলী এতে সাহায্য করে।
২. হলুদ
অ্যান্টিসেপটিক এবং প্রদাহ-বিরোধী গুণসম্পন্ন হলুদ গুঁড়ো অল্প পানিতে মিশিয়ে মুখের ঘায়ে লাগালে এটি সারাতে সাহায্য করে।
৩. মধু
অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে মধুতে। মধুর জীবাণুনাশক গুণ মুখের ঘা দূর করতে সাহায্য করে। এর জন্য মুখের ঘায়ে অল্প মধু লাগাতে পারেন।
৪. হলুদ-মধু
এক চা চামচ মধুতে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি মুখের ঘায়ে লাগান। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
৫. বরফ লাগানো
মুখের ঘায়ে বরফ লাগালে ঘা থেকে যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে।
৬. লবণ পানি
লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের ঘা সারাতে সাহায্য করতে পারে।
৭. তুলসী পাতা
তুলসীর জীবাণুনাশক গুণ মুখের ঘা সংক্রমিত স্থান জীবাণুমুক্ত করতে সাহায্য করে। এর জন্য তুলসী পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে মুখ কুলকুচি করতে পারেন।
৮. মেথি পাতা
এক কাপ পানি ভালো করে ফুটিয়ে তাতে ধুয়ে রাখা মেথি পাতা দিয়ে দশ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এরপর এটি দিয়ে মুখ কুলকুচি করলে মুখের ঘা সারাতে অনেক সাহায্য করে।
৯. রসুন
রসুন বেটে ঘায়ে লাগালে ঘা সারাতে সাহায্য করে। রসুনের অ্যালিসিন নামক উপাদান মুখের ঘা থেকে যন্ত্রণা দ্রুত উপশম করে।
১০. অ্যালোভেরা জেল
প্রদাহ-বিরোধী গুণসম্পন্ন অ্যালোভেরা জেল ঘায়ে লাগালে ঘা সারাতে সাহায্য করে।