
আন্তর্জাতিক যোগ দিবস ২০২৫: হাঁটুর ব্যথা এখন শুধু বার্ধক্যজনিত সমস্যা নয়। আজকাল ৩৫ বছর বয়সের পর ১ জনের মধ্যে ৩ জন এবং ৫০ এর পর প্রায় ৬০% মানুষের হাঁটুর ব্যথা, শক্ত হয়ে যাওয়া বা হাঁটতে অসুবিধার অভিযোগ থাকে। এই ব্যথা আর্থ্রাইটিস, অতিরিক্ত ওজন, হাঁটুর নার্ভের দুর্বলতা বা কম স্কোয়াটিং ওয়ার্কআউটের কারণে হতে পারে। যোগব্যায়াম শুধু ব্যথা কমায় না, আপনার জয়েন্টের নমনীয়তা এবং রক্ত সঞ্চালনও উন্নত করে যার ফলে ফোলাভাব এবং শক্ত হয়ে যাওয়ার সমস্যা দ্রুত উপশম হয়। তাহলে আসুন এই আন্তর্জাতিক যোগ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে জেনে নেই ৪টি যোগাসন, যা হাঁটুর ব্যথা উপশমে সাহায্য করে।
১. বজ্রাসন
বজ্রাসনে বসলে রক্ত সঞ্চালন নাভি থেকে হাঁটুর দিকে ঘুরে যায়, যার ফলে কার্টিলেজ (হাঁটুর কুশনিং) পুষ্টি পায়। প্রথমে পা পিছনের দিকে ভাঁজ করে গোড়ালির উপর বসে যান। তারপর মেরুদণ্ড সোজা রেখে, হাত দুটি হাঁটুর উপর রেখে ২-৫ মিনিট রোজ বসুন। এটি হাঁটুকে স্থিতিশীলতা দেয়। পেশী এবং লিগামেন্টগুলিকে শিথিল করে। পাশাপাশি হজমশক্তিও উন্নত হয়, যার ফলে ফোলাভাব কমে।
২. তাড়াসন
তাড়াসন শরীরকে টানটান করে যার ফলে নিতম্ব, উরু, হাঁটু পুরো শরীরকে টানটান করে। এটি পেশীর টান কমায় এবং শরীরের ভারসাম্য ঠিক করে। এটি করার জন্য সোজা হয়ে দাঁড়ান, দুই পা একসাথে রাখুন। হাত দুটি মাথার উপর নিয়ে ইন্টারলক করুন। গোড়ালি তুলে পুরো শরীর টেনে ৫-৬ বার গভীর শ্বাস নিন। এতে হাঁটুর উপর চাপ কমে এবং ভারসাম্য রক্ষাকারী পেশী শক্তিশালী হয়।
৩. মকরাসন
এই যোগাসনে শরীর মাটির সাথে সংযুক্ত থাকে, যার ফলে রক্ত সঞ্চালন ধীর হয়ে আরোগ্য লাভে সাহায্য করে। এটি প্যারাসিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেমকে সক্রিয় করে। প্রথমে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন এবং দুই হাত ভাঁজ করে থুতনির নিচে রাখুন। পা দুটো ছড়িয়ে চোখ বন্ধ করে শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর মনোযোগ দিন। এতে জয়েন্টের টানে আরাম পাওয়া যাবে।
৪. বীরভদ্রাসন ২
এই আসন উরু, নিতম্ব এবং হাঁটুকে সক্রিয় করে এবং তাদের স্ট্যামিনা বাড়ায়। এটি করার জন্য এক পা ৯০ ডিগ্রি ভাঁজ করুন, অন্য পা পিছনে সোজা রাখুন। হাত দুটি কাঁধের সমান্তরালে ছড়িয়ে দিন। এবার সামনে তাকান এবং হাঁটুর উপর চাপ দেবেন না। ৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং পা পরিবর্তন করুন। এটি করলে হাঁটুর শক্তি বৃদ্ধি পায়।