ফ্যাটি লিভারের রোগ থেকে মুক্তি পেতে কয়েকটি সবজির রস পান করা একটি ডিটক্সিফাইং এজেন্ট হিসাবে কাজ করতে পারে এবং আপনার লিভারকে সুস্থ রাখতে পারে।
খারাপ খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার কারণে লিভারজনিত রোগ বাড়ছে। অবস্থা হলো শরীরে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে এবং এর কারণে ধমনী ও লিভারের কোষের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, লিভারের কোষে খারাপ চর্বি জমে তাদের কার্যক্রমকে প্রভাবিত করে।
এ ছাড়া দীর্ঘক্ষণ এই শারীরিক পরিস্থিতি চলতে থাকলে ফ্যাটি লিভারের রোগও হতে পারে। এর থেকে মুক্তি পেতে কয়েকটি সবজির রস পান করা একটি ডিটক্সিফাইং এজেন্ট হিসাবে কাজ করতে পারে এবং আপনার লিভারকে সুস্থ রাখতে পারে।
১. করলার রস
করলার রস ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভালো বলে মনে করা হলেও এর জুস লিভারের রোগীদের জন্যও উপকারী। আসলে, করলা আপনার লিভার পরিষ্কার করতে সাহায্য করতে পারে এবং এর রস আপনাকে সমস্যা মোকাবেলায় সাহায্য করতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ভিটামিন অ্যান্ড নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, এটি লিভারে এনজাইমের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কার্যকলাপকে শক্তিশালী করে লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
২. আদার রস
আদার মধ্যে জিঞ্জেরল নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা লিভার সম্পর্কিত অনেক রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। উপরন্তু, এটি কোষে জমে থাকা অমেধ্যকে ডিটক্সিফাই করে এবং এনজাইমের কার্যকলাপকে ত্বরান্বিত করে যা লিভারকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। তাই আপনি যেমন স্যুপ পান করেন, তেমনি আদার রসও পান করতে পারেন। এর তাপে লিভারে জমে থাকা ময়লা গলে যাবে।
৩. লেবুর রস
লেবুর রস পান করলে তা লিভারের কোষে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ এবং লিভারে জমে থাকা কোষগুলিকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। উপরন্তু, এটি লিভারের কার্যকারিতাকেও উৎসাহিত করে এবং পিত্ত রসের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই লিভারকে সুস্থ রাখতে চাইলে লেবুর রস পান করুন।
৪. বিটরুট জুস
বিটরুটের রসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং রুফেজ থাকে এবং এটি পাকস্থলীর বিপাকীয় হার বাড়ায়। উপরন্তু, এটি এনজাইম উৎপাদনে সাহায্য করে যা লিভারকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও, এটি আপনার লিভারের কোষগুলিকে সুস্থ রাখে এবং লিভার সম্পর্কিত রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। তাই আপনি যদি লিভার সংক্রান্ত এসব রোগ থেকে নিরাপদ থাকতে চান, তাহলে অবশ্যই এই জুসগুলো আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন।