গরমকালে শরীরে তাপ বৃদ্ধির কারণে অনেকেরই অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়। এ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি পেতে ৫ টি ঠান্ডা পানীয় পান করতে পারেন। এগুলো দ্রুত শরীরে কাজ করে, পেটের সমস্যা ঠিক করে আরাম দেয়।
পুদিনার রয়েছে অসাধারণ ঔষধি গুণ। এতে থাকা থাইমল নামক যৌগটি হজমকারী এনজাইমগুলিকে উদ্দীপিত করে, খাবার হজমে সহায়তা করে। এটি অ্যাসিডিটি তৈরি হওয়া রোধ করতে পারে।
এক চা চামচ পুদিনা এক গ্লাস হালকা গরম জলে ১০-১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ছেঁকে পান করুন। পুদিনাের জল পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা এবং গ্যাসের সমস্যার জন্য দুর্দান্ত উপশম দেয়। এটি খালি পেটে অথবা খাবার পরেও পান করতে পারেন।
27
গন্ধরাজ ঘোল: সুগন্ধি ও সতেজ
গন্ধরাজ লেবু তার অনন্য সুগন্ধের জন্য খুবই জনপ্রিয়। এটি পশ্চিমবঙ্গে খুবই জনপ্রিয় একটি পানীয়। গন্ধরাজ লেবুতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি হজমশক্তি উন্নত করতেও সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি শরীরকে ঠান্ডা এবং সতেজ রাখার পাশাপাশি অ্যাসিডিটি কমাতেও সাহায্য করে।
এক গ্লাস টকদই বা ছানা নিন। এতে কয়েক ফোঁটা গন্ধরাজ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। সামান্য লবণ এবং চিনি (ইচ্ছা করলে) মিশিয়ে ভালো করে নাড়ুন। সুস্বাদু বাঙালি স্টাইলের লস্যি তৈরি।
37
মশলা সোডা: স্বাদ ও আরাম একসাথে
মশলা সোডা শুধুমাত্র একটি সতেজ পানীয়ই নয়, এটি অ্যাসিডিটির বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে। এতে থাকা আদা, জিরা এবং লেবুর মতো উপাদানগুলি হজমে সহায়তা করে।
এক গ্লাস ঠান্ডা সোডা জলে আধ চা চামচ আদার রস, এক চতুর্থাংশ চা চামচ ভাজা জিরা গুঁড়ো, সামান্য চাট মশলা এবং আধ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। ভালো করে নাড়লেই মশলা সোডা তৈরি।
ডাবের জল একটি প্রাকৃতিক এবং সতেজ পানীয়। এতে থাকা ইলেক্ট্রোলাইটগুলি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি পেটের অম্লতাকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
ডাবের জল পান করলে এতে থাকা পটাশিয়াম, সোডিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজগুলি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে।
57
মৌরির জল: ঠান্ডা এবং হজমকারী
মৌরির বীজে থাকা অ্যানেথল নামক যৌগটি হজমশক্তি উন্নত করতে এবং পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরকে ঠান্ডাও রাখে।
এক চা চামচ মৌরির বীজ এক গ্লাস জলে রাতভর ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই জল ছেঁকে পান করুন। এটি খাবার পরেও পান করতে পারেন।
67
বাটার মিল্ক: প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ
বাটারমিল্কে প্রোবায়োটিক রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। এই ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে, যা অ্যাসিডিটি এবং হজমের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
টকদই ভালো করে ঝাঁকিয়ে, প্রয়োজনীয় পরিমাণ জল এবং সামান্য লবণ মিশিয়ে নিন। ইচ্ছা করলে, সামান্য আদা বা ধনেপাতা মিশিয়ে পান করতে পারেন। এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখে। খাবার পরে ছানা/বাটারমিল্ক পান করা হজমের জন্য খুবই ভালো।
77
লেবুর জল: ভিটামিন সি ও আরাম
লেবুর জল একটি সতেজ এবং সহজলভ্য পানীয়। এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে এবং অ্যাসিডিটির লক্ষণগুলি দূর করতে সাহায্য করে। তবে, কারও কারও ক্ষেত্রে এটি অম্লতাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে, তাই আপনার শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী এটি পান করুন।