
বাতকর্ম নিয়ে আমরা লজ্জা পাই ঠিকই, তবে এটি একেবারে স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যকর একটি প্রক্রিয়া। বরং দীর্ঘ সময় গ্যাস চেপে রাখলে হজমের গন্ডগোল, পেটব্যথা এমনকি অনিদ্রার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
প্রতিদিন ৫–৭ বার বাতকর্ম হলে তা স্বাভাবিক। তবে অতিরিক্ত বাতকর্ম বা গ্যাস হওয়ার পেছনে দায়ী মূলত সাধারণ জীবনযাপনের কিছু অভ্যাস—যা বদলালেই গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
১। দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকা
অনেকেই না খেয়ে দীর্ঘ সময় পার করে দেন, ভাবেন এতে ওজন কমবে। আসলে খালি পেটে বেশিক্ষণ থাকলে অম্বল ও গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যায়।
যে কোনও খাবার পুরোপুরি হজম করতে মানুষের শরীর কমপক্ষে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় নেয়। তাই দুটি খাবারের মধ্যে ৪ ঘণ্টা ব্যবধান রাখুন—না কম, না বেশি।
২। প্রাতরাশ না করা
সকালবেলা কিছু না খেয়ে দুপুর পর্যন্ত থাকলে শরীর অতিরিক্ত সুগার, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট চায়, ফলে বাড়ে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা এবং পেটের গোলমাল লেগেই থাকে।
ঘুম থেকে উঠে ১ ঘণ্টার মধ্যে প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ প্রাতরাশ করুন।
৩। রাত করে তেল-মশলাদার খাওয়া
রাত ১০টা বা ১১টার পর বেশি খেলে বা ভাজাভুজি খেলে হজমক্রিয়া ধীর হয়ে শরীরে টক্সিন জমা হতে থাকে, কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। ফলে ঘন ঘন গ্যাস ও বাতকর্ম হয়। হজমের গন্ডগোল শুরু হয়, অনিদ্রাজনিত সমস্যাও দেখা দেয়।
৪। ডায়েটে ফাইবারের ঘাটতি
কম কার্ব ও বেশি প্রোটিন ডায়েট করলে অনেকে ভাবেন ওজন কমবে, কিন্তু খাবারে পর্যাপ্ত ফাইবার না থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটফাঁপার মতো সমস্যা হতে পারে। ওজন বাড়বে, শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তো কমবেই, অন্ত্রে উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যাও কমবে।
তাই প্রতিদিন ২৫–৩০ গ্রাম ফাইবার আছে এমন সবজি, ফল, শস্যদানা খেতে হবে।
৫। খাওয়ার পরেই ঘুমিয়ে পড়া
দুপুর হোক বা রাত, খেয়েই শুয়ে পড়লে বদহজম, বুকজ্বালা, অম্বল, ওজন বৃদ্ধি, এমনকি স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে।
খাওয়া ও ঘুমোনোর মধ্যে অন্তত ৩ ঘণ্টার ব্যবধান থাকা উচিত। সম্ভব না হলে খাওয়ার পর অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন। আবার দুপুরের খাবার খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরে প্রাণায়াম বা হালকা যোগাসন করে নিলেও অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরে যাবে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।