কম জলপান করার অভ্যাস আপনার শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক থেকে শুরু করে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এবং অতিরিক্ত ঘুমের মতো সমস্যা হতে পারে।
শরীরে জলের অভাব শুধু আপনার ত্বক বা শরীরের জন্যই নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। জল শরীরকে ডিটক্সিফাই করে এবং হার্টকে সঠিকভাবে পাম্প করে। কিন্তু কম জলপান করার অভ্যাস আপনার শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক থেকে শুরু করে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এবং অতিরিক্ত ঘুমের মতো সমস্যা হতে পারে। আসুন জেনে নিই জলের অভাবে শরীরে কী কী সমস্যা দেখা দেয়।
অনিয়মিত হৃদস্পন্দন:
শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে পর্যাপ্ত জল প্রয়োজন। শরীরে জলের অভাব হলে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে, যা সরাসরি হার্টকে প্রভাবিত করে এবং হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে পড়ে।
ধীর রক্ত সঞ্চালন
ডিহাইড্রেশন রক্ত জমাট বাঁধতে পারে, যা রক্ত প্রবাহকে ধীর করে দেয়। রক্ত ঘন হয়ে গেলে হৃদপিণ্ডকে পাম্প করতে আরও বেশি চাপ দিতে হয়। এই অবস্থা উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্যান্য হার্ট সম্পর্কিত সমস্যাগুলির দিকে পরিচালিত করে।
শরীরের তাপমাত্রা ভারসাম্যহীনতা
জল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। জলের অভাব শরীরের তাপমাত্রায় ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে, যা হার্টের উপর চাপ বাড়াতে পারে। এটি বেশিরভাগ গ্রীষ্মকালে ঘটে।
অতিরিক্ত ঘুম
শরীরে জলের অভাব থাকলে সারাক্ষণ ক্লান্তি ও ঘুম হয়। শরীরে রক্ত সঞ্চালন ধীরগতির কারণে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায় যার ফলে ঘুম ঘুম ভাব আসে।
শরীরের দৃঢ়তা
জলের অভাবে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় এবং শরীরে পটাশিয়াম ও সোডিয়ামের অভাবে হাত, পা, ঘাড় ইত্যাদি শরীরের যেকোনো অংশে শক্ত হয়ে যায়।
কিডনি ও হার্টের সম্পর্ক:
শরীরে জলের অভাবে কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা হতে থাকে। এছাড়াও, যেহেতু কিডনি এবং হার্ট একে অপরের সাথে যুক্ত তাই কিডনির কোনো ক্ষতি হলে তা হার্টেও প্রভাব ফেলে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।