
Health Tips: বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব হল দুর্গোৎসব। দুর্গা পুজো মানেই উৎসব, আনন্দ আর সারা রাত প্যান্ডেল হপিং। বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ। খাতায় কলমে এখনও পুজো শুরু না হলেও উৎসবের আমেজ ভরপুর। শুধু বোধন থেকে বিসর্জন নয়, আজকাল বিভিন্ন পুজো মণ্ডপের ভিড় শুরু হয়ে যায় মহালয়া থেকেই। কবে কোন ঠাকুর দেখবেন তা মোটামুটি আগে থেকে স্থির করে ফেলেন দর্শনার্থীরা।
যত বছর যাচ্ছে ততই যেন বাড়ছে পুজোর দিন। মনে আগে ষষ্ঠী বা সপ্তমী থেকে শুরু হতো ঠাকুর দেখা। এখন তো মহালয়াতেই সব প্যান্ডেল উদ্বোধন হয়ে যায়। আর তখন থেকেই লোকজন ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়ছেন।
এখন তো তৃতীয়া, চতুর্থীতেই যা ভিড় হচ্ছে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে সেটা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হতে বাধ্য। অনেকেই আবার এই সময় সারা রাত জেগে ঠাকুর দেখেন। আপনিও কি সেই দলে আছেন নাকি? রোজ বেরোন আর রোজ হোলনাইট ঠাকুর দেখেন?
কিন্তু এই আনন্দ করতে গিয়ে আমাদের স্বাস্থ্য প্রায়শই উপেক্ষিত হয়। সারারাত জেগে ঠাকুর দেখা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া - এগুলি সবই পূজার অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু এর ফলে শরীরের উপর একটি বড় ধকল যায়। তাই পূজার পরেও ফিট থাকার জন্য কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করা যাক।
যেমন ধরুন পর্যাপ্ত ঘুম। পূজার সময় ঘুমের রুটিন একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। সকালে পুজো এবং রাত জেগে ঠাকুর দেখা। তাই পূজা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চেষ্টা করুন নিয়মিত সময়ে ঘুমাতে এবং উঠতে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুম আবশ্যক। এটি শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং মনকে সতেজ রাখে।
পুজোর মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই আমাদের বাইরের খাবার জাঙ্ক ফুড এইসব চলতে থাকে। পুজোর সময় আমরা প্রচুর জাঙ্ক ফুড, ফাস্ট ফুড এবং মিষ্টি খেয়েও থাকি। পুজো শেষ হলে এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসা জরুরি। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন এবং ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার খান। প্রচুর পরিমাণে ফল, শাক-সবজি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন, যা শরীরকে ডিহাইড্রেটেড হতে দেয় না।
খাওয়া-দাওয়া সাথে আমাদের এই সময় প্রয়োজন শরীরচর্চাও। পুজোর কয়েকদিন শরীরচর্চার রুটিন একেবারে বন্ধ থাকে। তাই পূজা শেষ হলে আবার নিয়মিত শরীরচর্চা শুরু করুন। প্রথমে হালকা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করতে পারেন, যেমন - হাঁটা, জগিং, বা সাইক্লিং। ধীরে ধীরে ব্যায়ামের সময় এবং তীব্রতা বাড়াতে পারেন। যোগাসনও একটি ভালো বিকল্প। এটি শুধু শরীরকে ফিট রাখে না, মনকেও শান্ত রাখে।
এছাড়া ব্যবহার করতে পারেন ডিটক্স পানীয়।পুজোর সময় অতিরিক্ত খাওয়া এবং অনিয়মের ফলে শরীরের উপর যে চাপ পড়ে, তা দূর করতে ডিটক্স পানীয় খুবই কার্যকর। সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা গরম জলে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে পারেন। এছাড়া, গ্রিন টি, শসা-পুদিনার জল, বা আদার জলও শরীরের জন্য উপকারী।
পুজোয় পুরো খাটাখাটনি করার পর পুজোর আনন্দ এবং তার পরের ক্লান্তি স্ট্রেসের কারণ হতে পারে। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। ধ্যান, হালকা মিউজিক শোনা, বা পছন্দের কোনও বই পড়া - এগুলি মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।