ওজন কমানোর জন্য জোয়ানের জুড়ি মেলা ভার। হজমশক্তি তো বটেই, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থেকেও মিনিটের মধ্যে মুক্তি দেয় জোয়ান।
প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে মানুষের হজমশক্তি বৃদ্ধির জন্য অব্যর্থ টোটকা হিসেবে উল্লিখিত রয়েছে জোয়ানের ব্যবহার। হজমশক্তি তো বটেই, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থেকেও মিনিটের মধ্যে মুক্তি দেয় জোয়ান। চিকিৎসকেরাও কখনও কখনও জোয়ান খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। জোয়ানে এমন কিছু উপকারী উপাদান রয়েছে, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে থাকে। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করা ছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অথবা ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এবং ত্বক ও চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য জোয়ান এক দুর্দান্ত ফলদায়ী ওষুধ।
-
জোয়ানের মধ্যে রয়েছে একাধিক ভিটামিন এবং মিনারেল। ফাইবার, প্রোটিন, ক্যালশিয়াম ও ফসফরাসের পাশাপাশি এতে থাকে ল্যাক্সাটাইভস, যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে হজমের সমস্যায় আরাম দেয়। এছাড়াও শরীরে বেশ কিছু উৎসেচকের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জোয়ান।
-
ওজন কমানোর জন্য জোয়ানের জুড়ি মেলা ভার। জোয়ানের মধ্যে থাকা ল্যাক্সাটাইভস খাবার হজমে সহায়তা করে। শরীরের মেটাবলিজম রেটও বাড়ায়, যার দরুন হজম ভালো হয়। যদি নিয়মিত গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা লেগে থাকে, তাহলে ওজন কমতে সমস্যা হয়, সেই সঙ্গে খাওয়ার ইচ্ছেও থাকে না, এর ফলে প্রায়শই গ্যাস বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমলে, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দূর হলে কিন্তু ওজনও কমবে তাড়াতাড়ি। জোয়ানের মধ্যে থাকা ফাইবারই এই সমস্যার সমাধান করে দেয়। গ্যাস-অম্বল কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা যদি দীর্ঘদিন ধরে থাকে তাহলে সেখান থেকে আসে গ্যাস্ট্রিক আলসারের সম্ভাবনা। যা শরীরের জন্য কিন্তু একেবারেই ভালো নয়। সেই সব সমস্যা দূরে রাখে জোয়ান।
-
জোয়ান খাওয়ার আগে ১০ থেকে ১৫ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখুন। এক গ্লাস জলে ২ চামচ জোয়ান দেবেন। এবার তা ভিজে গেলে ভাল করে ফুটিয়ে ছেঁকে নিন। গরম গরম এই জল খেতে পারলে উপকার সবচেয়ে বেশি। সকালে উঠে খালি পেটে এই জল খেতে পারলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়। এছাড়াও দুপুরের খাবার খাওয়ার পর এক গ্লাস ইষদুষ্ণ জল আর এক চামচ জোয়ান খেতে পারেন। এতেও উপকার পাবেন।