গ্রামীণ ব্যবহার বেড়েছে। পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রকের অধীনে এনএসএসও এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।
Household Consumption Expenditure Survey: ১১ বছরের ব্যবধানের পর, একটি প্রধান ভোক্তা তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত দুই দশকে গ্রামীণ ও শহুরে পরিবারের মধ্যে গড় মাসিক ব্যয়ের ব্যবধান কমেছে। গ্রামীণ ব্যবহার বেড়েছে। পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রকের অধীনে এনএসএসও এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।
প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ২০২২-২৩ সালে গড় মাথাপিছু মাসিক পারিবারিক খরচ (MPCE) গ্রামীণ ভারতে ৩৭৭৩ এবং শহরাঞ্চলে ৬৪৫৯ ছিল। গ্রামীণ ও শহুরে ব্যয়ের মধ্যে ব্যবধান ২০১১-১২ সালে ৮৩.৯ শতাংশ থেকে কমে ৭১.২ শতাংশ হয়েছে, যা ২০০৯-১০ সালে ৮৮.২ শতাংশ এবং ২০০৪-০৫ সালে ৯০.৮ শতাংশ ছিল। এর থেকে অনুমান করা যায় যে, গ্রামীণ ও শহুরে পরিবারের মধ্যে গড় মাসিক ব্যয়ের পার্থক্য সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমছে।
পরিসংখ্যান মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য পত্র অনুসারে, ১৮ বছরে গ্রামীণ এলাকায় গড় MPCE শহর এলাকার তুলনায় ছয় গুণ বেড়েছে। ২০০৪-০৫ সালে, গ্রামীণ ব্যয় ছিল ৫৭৯ টাকা এবং শহুরে ব্যয় ছিল ১১০৫ টাকা। এটি গ্রামীণ এলাকায় ৫৫২ শতাংশ এবং শহর এলাকায় ৪৮৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সারাদেশে সমীক্ষার মধ্যে সবচেয়ে ভিন্ন চিত্র ফুটে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গে। এখানকার মানুষের চিকিৎসার পিছনে সব থেকে বেশি ব্যায় করেন। খাবার খরচে গড়পড়তা খরচ করা বাঙালি এখন সব থেকে বেশি খরচ করে কেনা খাবার ও পানীয়ে। এক কথায় ওষুধ আর পেট পুজোতেই পেটু বাঙালির ট্যাঁক শাসন করছে! খরচের এই ধরনের জন্য দেশের মধ্যে বাংলা আলাদা। এই সমীক্ষা অনুযায়ী, সাধারণ জনতার সবথেকে বেশি টাকা খরচ হয় যাতায়াতের পিছনে। এরপরেই আছে মোবাইল, টিভি, ফ্রিজের মতো জিনিসপত্র কেনা। কিন্তু একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে সবথেকে বেশি খরচ চিকিৎসা খাবার কেনা, জ্বালানি ও বিদ্যুতের বিল মেটাতো, এখানে গ্রাম ও শহরে একই অবস্থা।