ব্ল্যাক কফি জিমের কর্মক্ষমতা এবং ফ্যাট বার্নিংয়ের জন্য সেরা প্রি-ওয়ার্কআউট পানীয়। সঠিক সময় এবং পরিমাণে এটি পান করুন এবং ওয়ার্কআউটের সময় শক্তি এবং মনোযোগ বাড়ান। অতিরিক্ত সেবন এড়িয়ে চলুন।
ব্ল্যাক কফিকে প্রি-ওয়ার্কআউটের জন্য সেরা পানীয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি পান করলে কেবল সতেজতা অনুভূত হয় না, শরীরেরও অনেক উপকার হয়। ক্রীড়াবিদদের পাশাপাশি জিমে যাওয়া লোকদের জন্য এটি বেশ জনপ্রিয় পানীয়। ক্যাফেইনযুক্ত কফি শরীরের কীভাবে উপকার করে, আসুন জেনে নিই বিস্তারিত।
কফিতে ক্যাফেইন থাকে। ক্যাফেইন অ্যাড্রেনালিন উৎপাদন বাড়ায়। এর ফলে জিমে পরিশ্রম করা সহজ হয়। একইসাথে ক্রীড়াবিদরাও দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ তীব্রতার খেলায় ভালভাবে মনোযোগ দিতে পারেন। তীব্র ওয়ার্কআউটের সময় যে ব্যথা অনুভূত হয়, ক্যাফেইনের কারণে তা কম অনুভূত হয়। সামগ্রিকভাবে ব্ল্যাক কফিতে থাকা ক্যাফেইন শরীরকে ভালো অনুভূতি দেয় এবং ক্লান্তিও কম হয়।
স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন এমন লোকেরাও ব্ল্যাক কফি পান করতে পারেন। ক্যাফেইন ফ্যাট স্টোরেজকে সক্রিয় করে এবং ওয়ার্কআউটের সময় ক্যালোরি পোড়ায়। এভাবে স্থূলতাও কমে। ক্যাফেইন দীর্ঘ সময় ধরে ওজন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে এবং শরীরের স্টোরেজ গ্লাইকোজেন সংরক্ষণ করে।
যেভাবে যেকোনো কিছুর অতিরিক্ত সেবন বিপজ্জনক, ঠিক সেভাবেই ব্ল্যাক কফিও ক্ষতি করতে পারে। যদি আপনি ব্ল্যাক কফির উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েন, তাহলে আপনার সবসময় ক্যাফেইনের প্রয়োজন অনুভূত হবে। ব্ল্যাক কফিকে পানির মতো ব্যবহার করবেন না কারণ এটি আপনাকে হাইড্রেট করবে না।
বিশেষজ্ঞরা ব্যায়ামের প্রায় ৩০ থেকে ৬০ মিনিট আগে ব্ল্যাক কফি পান করার পরামর্শ দেন। ওয়ার্কআউটের আগে কফি পান করলে শোষণের সময় পাওয়া যায়, যার দুর্দান্ত প্রভাব ব্যায়ামের সময় দেখা যায়। আপনি দিনে ২ কাপের বেশি ব্ল্যাক কফি পান করবেন না। এছাড়াও খালি পেটে ব্ল্যাক কফি পান করলে পেটের সমস্যা হতে পারে। কিছু খাওয়ার পরেই ব্ল্যাক কফি পান করা ভালো।