ঠিক শীত পড়ার আগেই অনেকের শুরু হয়ে যায় জ্বর-সর্দি-কাশি।
মরশুম বদলের সঙ্গে সঙ্গেই জ্বর এবং সর্দিকাশি লেগেই থাকে অনেকের। হাঁপানি কিংবা সিওপিডি যাদের আছে, তাদের যেন আরও বেশি কষ্ট। ঠান্ডা লাগলেই শুরু হয়ে যায় শ্বাসের সমস্যা। সেইসঙ্গে, আবার এই সময়টায় বাতাসে ব্যাক্টেরিয়া এবং ভাইরাসেরও বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়।
তাই শরীরটাকে সুস্থ রাখতে গেলে শুধু ওষুধ খেলেই চলবে না। শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ানো প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারে ডিটক্স পানীয়। রোজদিন যখন চা পান করেন, তখন সেই চায়ের মধ্যেই এমন কিছু উপাদান মিশিয়ে নিন, যা স্বাভাবিকভাবেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা বৃদ্ধি করতে পারে।
চায়ের মধ্যে কী কী মেশালে উপকার হবে?
অনেকেই আছেন, যারা আদার রস দিয়ে লিকার চা খেতে পছন্দ করেন। তাই রোজ সকালে চায়ে মিশিয়ে দিন আদার রস। কারণ, আদায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে অনেকটাই সাহায্য করে। এরপর আসা যাক দারচিনির কথায়। চায়ের মধ্যে এক চিমটে দারচিনি মিশিয়ে দিলে স্বাদ যেমন বাড়ে, ঠিক তেমনই শরীরের ক্ষেত্রেও নানা উপকার হয়।
কারণ, দারচিনিতে রয়েছে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন কে। এই দুটি ভিটামিন যেকোনও রকম সংক্রামক রোগ থেকে শরীরকে বাঁচাতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে, দারচিনি মেশানো চা খেলে মেদও কমে এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।
এছাড়া তেজপাতায় অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং মাইক্রোব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকায় এটি অনেক অসুখ সারিয়ে তুলতে পারে। অন্যদিকে, হৃদ্যন্ত্রকে শক্তিশালী করতেও তেজপাতার গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়া কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতেও তেজপাতা কাজে লাগে।
এবার আসা যাক লবঙ্গের কথায়। এটিতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। পেটের গোলমাল ঠেকাতে লবঙ্গ খুবই উপকারী। তাছাড়া ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও লবঙ্গ অনেক উপকারী। একটি গবেষণা জানাচ্ছে, লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে শর্করার পরিমাণ অনেকটা কমে যায়। তাছাড়া সর্দিকাশি সারাতেও লবঙ্গর ভূমিকা অনস্বীকার্য। এক কাপ গরম জলে ৪-৫ টি লবঙ্গ দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রেখে দেওয়ার পর, ঠান্ডা হলে খেয়ে নিন।
এক সপ্তাহে ৩-৪ দিন খেতে পারেন লবঙ্গ চা। এছাড়া তুলসী এক বাটি জলে এক মুঠো তুলসী পাতা ফুটিয়ে নিন। এরপর কিছুটা আঁচ কমিয়ে দিয়ে ১০ মিনিট ধরে ফোটান। তারপর এক চামচ মধু আর দুই চামচ লেবুর রস মিশিয়ে দিন। তুলসীর চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভীষণ সাহায্য করে। নিয়মিত খেলে জ্বর এবং সর্দিকাশির প্রকোপ অনেকটাই কমবে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।