
Blood Cancer Cure Treatment: সেই ক্যান্সার যদি ব্লাড ক্যান্সার হয়, তাহলে সেই আতঙ্কের মাত্রা যেন আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তবে এবার দেশের চিকিৎসা জগতে দেখা গেল এক নতুন আশার আলো। মাত্র ৯ দিনে 'ব্লাড ক্যান্সারের' চিকিৎসা? অন্তত ভারতীয় গবেষণায় দেখা গেল সেই আশার আলো।
ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজ (CMC) এবং ICMR-এর যৌথ গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, ব্লাড ক্যান্সারের আধুনিক চিকিৎসা এখন মাত্র ৯ দিনের মধ্যেই সম্ভব। তামিলনাড়ুর ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজ (সিএমসি) এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) যৌথভাবে একটি গবেষণা শুরু করে। সেখান থেকেই এই দাবিটি এবার সামনে এসেছে।
এই পদ্ধতির নাম হল 'ভেল-কার-টি'। এটি আদতে CAR-T সেল থেরাপির একটি দেশীয় সংস্করণ। এই কৌশলের সাহায্যে রোগীর রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার টি-সেলগুলিকে এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়, যাতে সেগুলি সরাসরি ক্যান্সারের কোষগুলিকে ধ্বংস করে দিতে পারে। আর এই পদ্ধতিটি পরীক্ষামূলকভাবে কিছু রোগীর উপর প্রয়োগও করা হয়েছে বলে খবর। তার মধ্যে আবার ৮০% রোগীর ক্ষেত্রে, আগামী ১৫ মাসে আর ক্যান্সার ফিরে আসেনি। এদিকে এই থেরাপি প্রক্রিয়াটি মাত্র ৯ দিনের সম্পন্ন সম্ভব এবং তার খরচও অনেক কম।
বিশেষ করে এই থেরাপি তীব্র লিম্ফোব্লাস্টিক লিউকেমিয়া (ALL) এবং বৃহৎ বি-কোষ লিম্ফোমার (LBCL) মতো ব্লাড ক্যান্সারের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কার্যকরী। আইসিএমআর জানিয়ে দিয়েছে যে, এই প্রযুক্তি সম্পূর্ণরূপে দেশীয়। সেইজন্য চিকিৎসার খরচ বেশ সাশ্রয়ী হতে পারে বলেই জানা যাচ্ছে। যারা ব্যয়বহুল চিকিৎসার কারণেই তাদের চিকিৎসা করাতে পারছেন না, তাদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে অনেকটাই স্বস্তি এনে দেবে।
অন্যদিকে, আপনি যদি প্রতিদিন শ্যাম্পু, বডি লোশন, ফেস ওয়াশ বা সাবান ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আজ থেকেই সতর্ক হয়ে যান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় উঠে এসেছে একটি উল্লেখযোগ্য তথ্য। এই ধরণের প্রোডাক্ট থেকে পাওয়া গেছে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক 'ফর্মালডিহাইড'। শ্যাম্পু, লোশন, বডি ওয়াশ এবং আইল্যাশের মতো পণ্যেও এটির উপস্থিতি মিলেছে।
সেই গবেষণার প্রধান ডঃ রবিন ডডসন জানিয়েছেন, "এই রাসায়নিকগুলি এমন পণ্যগুলিতে থাকে, যা আমরা প্রতিদিন আমাদের গোটা শরীরে ব্যবহার করে থাকি। ফলে, সেটি বারবার শরীরের সংস্পর্শে এলে, তার প্রভাব বৃদ্ধি পায় এবং গুরুতর অসুস্থতার কারণ হতে পারে।"
প্রোডাক্ট কেনার আগে অবশ্যই উপাদান তালিকাটি একবার ভালো করে পড়ে নিন
ফর্মালডিহাইড-মুক্ত, প্রাকৃতিক কিংবা অর্গানিক প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন
প্রোডাক্ট কেনার আগে লেবেলটি ভালো করে দেখে নিন।
প্যাকেজিং-এ "Formaldehyde-free" ট্যাগ খুঁজুন।
"-ইউরিয়া" বা "-হাইডানটোইন" রয়েছে, এমন প্রিজারভেটিভ এড়িয়ে চলুন।
প্রাকৃতিক বা জৈব পণ্য ব্যবহার করুন।
পারলে ঘরে তৈরি বিকল্পকেই বেছে নিন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।