সিদ্ধ ডিম এবং অমলেট দুটিই জনপ্রিয় খাবার, তবে পুষ্টিগুণে কিছু পার্থক্য রয়েছে। এই লেখায় চর্বি, ক্যালোরি, প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ, হজম এবং স্বাস্থ্যের উপর প্রভাবের মতো বিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে দুটিকে তুলনা করা হয়েছে।
Parna Sengupta | Published : Dec 25, 2024 3:57 AM IST / Updated: Dec 25 2024, 09:39 AM IST
সিদ্ধ ডিম এবং অমলেট সকলেরই পছন্দের। স্বাস্থ্যের জন্য ডিম একটি ভালো খাবার। শীতকালে ডিমের বিক্রি বেশি হয়। ঠান্ডা বেশি থাকায় ডিমের চাহিদা বেড়ে যায়।
সিদ্ধ ডিম এবং অমলেট সবাই বাড়িতেই বানিয়ে থাকেন। কিন্তু এই দুটির মধ্যে কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো জানেন? কোনটি খেলে স্বাস্থ্যের বেশি লাভ জানেন? এই দুটির মধ্যে পার্থক্য কী তার তথ্য এখানে। ডিমপ্রেমীদের জেনে রাখা দরকার।
সিদ্ধ ডিম: সিদ্ধ ডিমে কম চর্বি থাকে। বিশেষ করে সাদা অংশে কম চর্বি থাকে। কম চর্বিতেই ক্যালোরিও কম থাকে। ওজন কমানোর জন্য ডিমের সাদা অংশ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
অমলেট: অমলেট বানাতে তেল ব্যবহার করা হয়, তাই এতে চর্বি এবং ক্যালোরির পরিমাণ বেশি। অতিরিক্ত তেল ব্যবহারের ফলে অমলেটে চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়।
সিদ্ধ ডিম: ডিম প্রোটিনের উৎস, সাদা অংশে এই উপাদান বেশি থাকে। যাদের প্রোটিনের ঘাটতি আছে তাদের ডিমের সাদা অংশ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
অমলেট: অমলেটে হলুদ এবং সাদা উভয় অংশই থাকে। তাই অমলেটে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি।
সিদ্ধ ডিম: ভিটামিন এ, বি১২ ছাড়াও সিদ্ধ ডিমে আয়রন এবং সেলেনিয়ামের মতো খনিজ উপাদান থাকে। এই উপাদানগুলি শরীরে শক্তি বৃদ্ধি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
অমলেট: অমলেট ভাজা হওয়ার কারণে ডিমের ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান কমে যেতে পারে। অমলেটে টমেটো, রসুন, আদা, কাঁচা মরিচ সহ অন্যান্য শাকসবজি এবং মশলা যোগ করলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
সিদ্ধ ডিম: অতিরিক্ত চর্বি না থাকায় সিদ্ধ ডিম হজমে কোনও সমস্যা করে না। সিদ্ধ ডিম সহজেই হজম হয়।
অমলেট: এটি তৈরিতে অতিরিক্ত তেল এবং মশলা ব্যবহার করা হয়। তাই হজমে সময় লাগে।
সিদ্ধ ডিম: সিদ্ধ ডিমে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকায় রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
অমলেট: কম তেল এবং মশলা ব্যবহার করেও অমলেট তৈরি করা যায়। অতিরিক্ত চর্বি এবং ক্যালোরির কারণে অতিরিক্ত অমলেট খেলে ওজন বাড়তে পারে।