গাড়ির এসি টিপস: গাড়ির ভিতরে ঘুমোলে কী কী ক্ষতি হতে পারে তা জানলে আর কখনও এই ভুল করবেন না।
গাড়িতে করে যাওয়ার সময় অনেকেই পথে গাড়ি থামিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এসির সুশীতলে গাড়ির ভিতরে ঘুমোলে শরীর সতেজ থাকে বলে অনেকে মনে করেন। এতে করে আবার যাত্রা শুরু করতেও সুবিধা হয়। কিন্তু ইঞ্জিন 'অন' করে গাড়ির ভিতরে ঘুমোলে ক্ষতি আছে, তা অনেকেই জানেন না। গাড়ির ভিতরে ঘুমোলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। কারণ গাড়ির চেম্বারে (Car Chamber) ক্ষতিকারক গ্যাসের মিশ্রণে ভরা থাকে। গাড়ির ভিতরে কেউ ঘুমোলে তার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
গাড়ির ভিতরে গরমের কারণে অনেকে এসি 'অন' করে ঘুমোন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এটি কোনও ক্ষতি করে না। কারও কারও ক্ষেত্রে সময়ের সাথে সাথে শ্বাসকষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনার গাড়ির এয়ার এক্সস্ট সিস্টেম (Air Exhaust System) সঠিকভাবে কাজ না করলেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এটি মৃত্যুর কারণও হতে পারে।
এই এয়ার এক্সস্ট সিস্টেমে কার্বন মনোক্সাইড CO থাকে। এই গ্যাসটি গন্ধহীন। এটি আমরা সনাক্ত করতে পারি না। বিশেষ করে এটি আমাদের শ্বাস নেওয়ার জন্য উপযুক্ত নয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে এসি চালু রাখলে কার্বন মনোক্সাইড তৈরি হয়। গাড়ির ভিতরে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে গেলে গাড়ির ভিতরে ঘুমানো একেবারেই উচিত নয়। এটি মৃত্যুর কারণও হতে পারে।
এসির ঠান্ডার জন্য গাড়ির জানালা বন্ধ করে রাখলে ভিতরে নতুন বাতাস প্রবেশ করতে পারে না। অক্সিজেনের অভাব হলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এর ফলে একজন ব্যক্তির মৃত্যুও হতে পারে। গাড়ির ভিতরে ঘুমানোর বিপদগুলোকে অবহেলা না করে সতর্ক থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। তাই এখন থেকে গাড়ির ভিতরে ঘুমানো বন্ধ করুন। থামানো গাড়িতে ঘুমোলেও মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। গাড়িতে ভ্রমণ করার সময় ঘন ঘন জানালা খুলে রাখলে মারাত্মক ক্ষতি এড়ানো সম্ভব। ইঞ্জিন 'অন' করে থামানো গাড়িতে ঘুমানো উচিত নয়। নিয়মিত এয়ার এক্সস্ট সিস্টেম পরীক্ষা করে নিন।