ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের রিপোর্ট অনুযায়ী, লিচুতে মিথিলিন সাইক্লোপ্রোপাইল-গ্লাইসিন নামক টক্সিন রয়েছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৯৫ সাল থেকে বিহারে লিচু খেয়ে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনা ক্রমাগত ভয় দেখাচ্ছে।
গ্রীষ্মে পাওয়া লাল রসালো ফল লিচু যেমন সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্যকর ফল। যদিও এর প্রকৃতি গরম, কিন্তু ভিটামিন সি, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো পুষ্টির উপস্থিতির কারণে গ্রীষ্মের মৌসুমে সমস্যাগুলি এড়াতে এটি একটি চমৎকার ফল হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু লিচুর সাথে জড়িত একটি গুরুতর অসুবিধাও রয়েছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের রিপোর্ট অনুযায়ী, লিচুতে মিথিলিন সাইক্লোপ্রোপাইল-গ্লাইসিন নামক টক্সিন রয়েছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৯৫ সাল থেকে বিহারে লিচু খেয়ে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনা ক্রমাগত ভয় দেখাচ্ছে। এটি উত্তর ভারতীয় অঞ্চলে চামকি জ্বর নামেও পরিচিত।
কখন এবং কেন লিচু বিপজ্জনক?
লিচুতে পাওয়া টক্সিন মিথিলিন সাইক্লোপ্রোপাইল-গ্লাইসিন (MCPG) এনসেফালাইটিস নামক মারাত্মক রোগের কারণ হয়। জনস হপকিন্স মেডিসিনের মতে, এনসেফালাইটিস হল মস্তিষ্কের টিস্যুর একটি প্রদাহ যা সংক্রমণ বা অটোইমিউন প্রতিক্রিয়ার কারণে ঘটে। এর ফলে মস্তিষ্কে ফুলে যায়, যার ফলে মাথাব্যথা, ঘাড় শক্ত হয় এবং খিঁচুনি হয়। এটি সকালে খালি পেটে খেলে বেশি ক্ষতি হয়।
খালি পেটে লিচু খাওয়া বিপজ্জনক
লিচু কখনই খালি পেটে বা বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। এই ফলটিতে উপস্থিত বিষাক্ত উপাদানের কারণে শরীরে সুগারের মাত্রা দ্রুত কমতে শুরু করে। এছাড়া বমি, মৃগী খিঁচুনিসহ রোগীর কোমায় চলে যাওয়ার এবং মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকে।
প্রতিদিন কয়টি লিচু খেতে হবে?
দিনে ৬-৭টি লিচু খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু আপনি যদি কোনো রোগের ওষুধ খাচ্ছেন, তাহলে লিচু খাওয়ার আগে ডোজ সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
লিচুর ক্ষতি থেকে বাঁচার উপায়-
লিচুর ক্ষতি এড়ানোর সর্বোত্তম উপায় হল এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়া। আপনি যে লিচু খাচ্ছেন তা যেন সম্পূর্ণ পাকা হয় তা নিশ্চিত করুন। এ ছাড়া উপবাসে বা খালি পেটে এই ফলটি খাবেন না।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।