শরীরে এই চারটে জিনিস কম থাকলে শীত বেশি অনুভূত হয়। তাতে শরীরে নানাবিধি সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই প্রথম থেকেই সাবধান হওয়া শ্রেয়।
এখন শীতকাল। যদিও তেমন বেশি ঠান্ডা এখনও পড়েনি। কিন্তু তাও আপনি শাল সোয়েটার জড়িয়ে বসে রয়েছেন। বা গরমকালে এসি থাকলেও প্রবল অস্বস্তি হয়-শীত করে। ভরা গরমকালেও এসির মধ্যে থাকলে গায়ে কিছু একটা জড়িয়ে রাখেন? চিন্তা করবেন না এই সমস্যা আপনার একার নয়। অনেকেই আছেন যারা এজাতীয় সমস্যায় ভোগে। অন্যদের তুলনায় তাদের শীত একটু বেশি লাগে। তবে এজাতীয় সমস্যা হলে প্রথম থেকেই সাধবান হয়ে যান। কারণ আপনার শরীরে কয়েকটি জিনিসের ঘাটতির জন্য এইসমস্যা তৈরি হতে পারে।
১. আয়রনের ঘাটতি
আয়রন বা লৌহের ঘাটতেতে শীত বেশি লাগে। আয়রনের ঘাটতির অপর কারণ হল রক্তস্বল্পতা। রক্তের টিসুতে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য পর্যাপ্ত লোহিত কনিকা থাকে না। তাতে ক্লান্তি, দুর্বলতা আর ঠান্ডা বেশি লাগে।
২. ভিটামিন বি ১২এর অভাব
ভিটামিন বি ১২ বা ফলিক অ্যাসিডের অভাবের কারণে শীত বেশি অনুভূত হয়। এটিও রক্তস্বল্পতার কারণ। ভিটামিন বি ১২ লাল রক্ত কোষ উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৩. রক্ত চলাচলে দুর্বলতা
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন রক্ত চলাচল স্বাভাবিক না থাকলে বেশি শীত অনুভূত হতে পারে। দেশের প্রতিটি অঙ্গে রক্ত সঠিকভাবে না পৌঁছালে এই সমস্যা তৈরি হয়। সংকীর্ণ ধমনী বা অন্যান্য সমস্যার কারণে এটি তৈরি হতে পারে।
৪. জলের অভাব
শরীরে জলের অভাব তৈরি হলে শীত বেশি লাগে। জলের অভাবে রক্ত চলাচল সঠিক হয় না। তাতে শরীরে সর্বত্র রক্ত পৌঁছাতে পারে না। তাই শীত বেশি লাগে।
এগুলি ছাড়াও আরও কতগুলি সমস্যা থাকলে বেশি শীত লাগে।
থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে শীর বেশি অনুভূত হয়। হাইপোতাইরয়েডিজন নামে পরিচিত থাইরয়েড গ্রন্থি। এটি শরীরের বিপাক ক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। তাতে শরীরে তাপ উৎপাদন ব্যাহত হয়।
দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ থাকলেও শীতের ভাব বেশি লাগে। কারণ দুর্বলতার কারণে সমস্যা তৈরি হয়। বয়সের কারণে অনেকের শীতের ভাবে বেশি লাগে।