হ্যাংওভার কাটাতে ম্যাজিক মত কাজ করে এই সাতটি জিনিস, ব্যাবহার করলে দ্রুত সতেজ হবেন

Published : Jan 01, 2023, 07:11 PM IST
Hangover

সংক্ষিপ্ত

পাতি লেবুর জলে সামান্য চিনি মিশিয়ে খেলে হ্যাংওভার দ্রুত কেটে যায়। চিনিতে গ্লুকোজ থাকায় শরীর দ্রুত চাঙ্গা হয়। অন্যদিনে নারকেলের জলও খুব উপকারী। রইল এমনই কতগুলি টিপস। 

৩১ ডিসেম্বর আর ১ জানুয়ারি- দেখতে দেখতে কেটে গেল। দিনভর পার্টি আর হুল্লোড়ের পর এখন আপনি নিশ্চয় ক্লান্ত? মাথা ধরা, ঘুম ঘুম ভাব, অবসন্ন- এমনটাই লাগছে? চিন্তা নেই। হ্যাংওভার কাটানোর সহজ উপায় রয়েছে। কয়েকটি খাবার আর পানীয়তেই কেটে যাবে হ্যাংওভার। ম্যাজিকের মত কাজ করে সেগুলি। আপনি দ্রুত সতেজ হয়ে ওঠবেন। সাধরণত হ্য়াংওভার কাটতে কাটতে ২৪ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় লাগে। কিন্তু এই খাবার আর পানীয়গুলি যদি গ্রহণ করতে পারেন তাহলে তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যেই সমস্যার সমাধান।

বিশেষজ্ঞদের মতে পাতি লেবুর জলে সামান্য চিনি মিশিয়ে খেলে হ্যাংওভার দ্রুত কেটে যায়। চিনিতে গ্লুকোজ থাকায় শরীর দ্রুত চাঙ্গা হয়। অন্যদিনে নারকেলের জলও খুব উপকারী। তাছাড়া খাবার পাতে অবশ্যই রাখতে পারেন পনির, টমেটো, শসা। এছাড়াও দ্রুত হ্যাংওভার কাটানোর তালিকায় রয়েছে আরও কতগুলি খাবার আর পানীয়-

১. তরমুজ

ডিহাইড্রেশন এবং মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়া হ্যাংওভার মাথাব্যথার সাধারণ কারণ। তরমুজ মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে, কারণ এতে উচ্চ জলের উপাদান রয়েছে যা শরীরকে রিহাইড্রেট করে।

২. টমেটো

টমেটোর রস পান করা হ্যাংওভারের উপসর্গগুলি উপশম করতে সম্ভাব্য সাহায্য করতে পারে, কারণ এতে এমন যৌগ রয়েছে যা অত্যধিক অ্যালকোহল সেবনের ফলে হওয়া ক্ষতি থেকে লিভারকে রক্ষা করতে পারে।

৩. নারকেলের জন

যেহেতু হাইড্রেশন ফিরিয়া হ্যাংওভার কাটানোর অন্যতম শর্ত সেই কারণে নারকেলের জল গুরুত্বপূর্ণ। নারকেলের জলে ইলেক্ট্রোলাইট থাকে। যা শরীরের তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৪.কলা

এই সময় পাতে অবশ্যই একটি করে কলা রাখতে পারেন। কলা শরীরকে হাইড্রেট করার পাশাপাশি শরীরে পটাসিয়াম আর গ্লুকোজের চাহিদা পুরণ করে।

৫ কমলালেবু

হ্যাংওভার কাটাতে কমলালেবু গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। অ্যালকোহল সেবনের সময় এর মাত্রা কমে যায়। কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এটি শরীরের গ্লুটাথিয়নের মাত্রা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।

৬. আদা

আদা বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে। এটি একটি ঘরোয়া টোকটটা। প্রবল মদ্যপান করার কারণে বমি ভাব কাটাতে আদার কুঁচি মুখে রাখতেই পারেন।

৭. ওটমিল

ওটমিলে জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকে যা রক্তে ধীরে ধীরে চিনি ছেড়ে দেয়। রাতে ভারী মদ্যপানের পরে ওটমিল খাওয়া ক্লান্তি এবং কম রক্তে শর্করার মাত্রার সাথে যুক্ত হ্যাংওভারে সহায়ক হতে পারে।

PREV
click me!

Recommended Stories

হার্ট অ্যাটাকের সময় তিনটি ওষুধ বাঁচাতে পারে আপনার জীবন, জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের মত
শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যে সাতটি খাবার দেবেন