স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চরক্তচাপ মানেই তিলে তিলে মারা যাওয়ার মতো। আপনি যদি এই সমস্যা এড়াতে চান, তাহলে আজ থেকেই আপনার জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। জেনে নিন সেই টিপসগুলো-
আজকাল বিভিন্ন কারণে মানুষের মধ্যে মানসিক চাপ অর্থাৎ উচ্চ রক্তচাপ বাড়ছে। এর কারণে অনেকেই বিষণ্ণতায় চলে যায়, যা তাদের পুরো পরিবারকে প্রভাবিত করে। যদিও মানসিক চাপ নিয়ে সমাজে এখনও ততটা সচেতনতা আসেনি যতটা আসা উচিত ছিল। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চরক্তচাপ মানেই তিলে তিলে মারা যাওয়ার মতো। আপনি যদি এই সমস্যা এড়াতে চান, তাহলে আজ থেকেই আপনার জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। সেই টিপসগুলো নিম্নরূপঃ-
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ টিপস-
২-৩ বার সিঁড়ি আরোহণ
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যখনই আপনি বিরক্তি বা মানসিক চাপ, রাগ বা উত্তেজনা অনুভব করেন, তখনই ৩-৪ বার দীর্ঘ শ্বাস নিন এবং তারপর মুখ দিয়ে ছেড়ে দিন। এর পরে, সিঁড়ি দিয়ে ২-৩ বার উঠুন এবং নামুন। সিঁড়ি বেয়ে উঠতে সমস্যা হলে হাঁটতেও পারেন। এতে করে বিরক্তি দূর হয় এবং মন শান্তি পায়।
৭-৮ ঘন্টা পর্যাপ্ত ঘুম-
ভাল ফিটনেসের জন্য, প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। এর থেকে কম ঘুমালে সারাদিনে আপনার শরীর ক্লান্ত থাকবে, যা আপনার মন ও চোখকেও প্রভাবিত করবে। এ কারণে আপনাকে মানসিক চাপেও পড়তে হতে পারে।
লবণ কম খাওয়া-
যারা বেশি রেগে যান, তাদের উচিত লবণ খাওয়া কম করা। এর কারণ হলো বেশি লবণ খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায়, যার কারণে বিরক্তি ও রাগ বা মানসিক চাপ আসে। এর কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই যতটা সম্ভব লবণ খাওয়া কমিয়ে দিন।
পরিবারের সঙ্গে ভ্রমণ পরিকল্পনা-
মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে কাজের ফাঁকে কয়েকদিন বিরতি নিন এবং পরিবারের সঙ্গে বাইরে যান। এতে করে শরীর ও মন দুটোই শিথিল হয় এবং স্ট্রেস লেভেল কমে যায়। সেই সঙ্গে কাজ করার জন্য নতুন শক্তি পাওয়া যায়।
আপনার সামাজিক বৃত্ত প্রসারিত করুন-
যারা একাকী জীবন যাপন করতে পছন্দ করেন তারা মানসিক চাপে বেশি ভোগেন। এই ধরনের মানুষ সহজে তাদের কথা অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করতে সক্ষম হয় না। এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য, আপনার সামাজিক নেটওয়ার্কিং বাড়ান এবং আপনার বন্ধু এবং পরিচিতদের সঙ্গে দেখা শুরু করুন। এতে করে আপনার একাকিত্ব এবং মানসিক চাপ দুটোই দূর হবে।