গর্ভবতীরা এই কয়েকটি জুস খান, কমবে মর্ণিং সিকনেস থেকে ক্লান্তির মতো সমস্যা

আপনি যদি এই সময়ের মধ্যে আপনার ডায়েট নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্ত হন তবে আপনি এই জুসগুলি খেতে পারেন। এই রস আপনার এবং আপনার গর্ভে বেড়ে ওঠা সন্তানের জন্য। জন্য খুব উপকারী যদি থাকে, তাহলে চলুন জেনে নেই সেগুলি

Web Desk - ANB | Published : Dec 2, 2022 4:35 PM IST

গর্ভাবস্থায় মহিলাদের তাদের স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নিতে হয়। বিশেষ করে যেকোনো কিছু খাওয়ার আগে একশোবার ভাবতে হবে কারণ এই সময়ে যেকোনো খাবার খেলে শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়ে। এভাবে নারীরা আপনার খাদ্যাভ্যাস নিয়ে বিভ্রান্ত হন। আপনি যদি এই সময়ের মধ্যে আপনার ডায়েট নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্ত হন তবে আপনি এই জুসগুলি খেতে পারেন। এই রস আপনার এবং আপনার গর্ভে বেড়ে ওঠা সন্তানের জন্য। জন্য খুব উপকারী যদি থাকে, তাহলে চলুন জেনে নেই সেগুলি সম্পর্কে...

লেবুর রস: গর্ভাবস্থায় লেবুর রস পান করতে পারেন। এতে ভিটামিন-সি পাওয়া যায় যা আপনার শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে। এছাড়াও এটি আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। আপনি দিনের যে কোন সময় লেবুর রস পান করতে পারেন। গর্ভাবস্থায় লেবুর রস পান করলে মর্নিং সিকনেসও সেরে যায়। লেবুপানে সামান্য আদা, পুদিনা, চাট মসলা দিন। এই জুস খেতে পারেন।

নারকেল জল: গর্ভাবস্থায় ফিট থাকতে আপনি নারকেল জল খেতে পারেন। এর পাশাপাশি এটি শরীরের ক্লান্তি দূর করতেও সাহায্য করে। নারকেল জল শরীরকে হাইড্রেট করতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখতেও খুব উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে ভালো পরিমাণে চিনি, সোডিয়াম, প্রোটিন, ইলেক্ট্রোলাইট, ক্লোরাইড, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন-সি রয়েছে।

তাজা ফলের রস: আপনি গর্ভাবস্থায় তাজা ফলের রস পান করতে পারেন। গ্রীষ্মে আপনি লেবু, কমলা, তরমুজ জাতীয় ফল থেকে তৈরি রস পান করতে পারেন। সেই সঙ্গে শীতে গাজর ও ডালিমের জুসও পান করতে পারেন। এতে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় তাজা ফল থেকে তৈরি জুস অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

জলজিরা: আপনি গর্ভাবস্থায় জলজিরা খেতে পারেন। এটি একটি সতেজ পানীয়। এটি আপনার শরীরকে হাইড্রেট করে এবং সকালের অসুস্থতা থেকে মুক্তি দেয়। জলজিরার টক স্বাদ আপনার মুড ঠিক করতে এবং পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

বাটারমিল্ক: আপনি বাটারমিল্ক খেতে পারেন। এটি গ্রহণ করলে আপনার শরীরে শক্তি আসবে এবং এটি আপনার শরীরে পানির অভাব হতে দেবে না। বাটারমিল্কে ক্যালসিয়ামের পরিমাণও খুব ভালো পাওয়া যায়। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে খাওয়ার পর এটি খেতে পারেন। এতে ভিটামিন-বি ১২, প্রোটিন, ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আপনার পরিপাকতন্ত্রের উন্নতিতে সাহায্য করে। তবে আপনার শুধুমাত্র ঘরে তৈরি বাটারমিল্ক খাওয়া উচিত।

Share this article
click me!