ফিট থাকতে তালিকা থেকে ভাতই বাদ; জানেন কি প্রতিদিন ভাত খাওয়ার উপকারিতা?

Published : May 08, 2025, 10:05 PM IST
rice

সংক্ষিপ্ত

ওজন ঝরাতে সবার আগে ভাত বাদ দেন সকলে। তবে পরিমিত পরিমাণে নিয়ম করে খেলে শরীরে উপকারও করতে পারে ভাত।

বাঙালির প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভাত থাকবেই। ভাত না খেলে তৃপ্তি মিলবে না এমনটাই বক্তব্য অনেকেরই। তবে এই হাল ফ্যাশনের যুগে নিজেকে স্লিম দেখানোর চক্করে খাদ্য তালিকায় সম্পূর্ণ দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ভাত। অগত্যা বাদ দিতে হচ্ছে ভাতকেই। তবে জানেন কি রোজ নিজের শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পরিমাপ করে ভাত খাওয়াও উপকার দেয়, চিকিৎসকেরাই বলছেন। আর হ্যাঁ, ও সময় ভাত খাওয়া বা রাতের বেলা ঘুমোনোর আগে থালা ভর্তি ভাত নিয়ে বসবেন না। এতে ক্ষতি হতে পারে আরও বেশি আর যদি একান্তই ছাড়তে হয়, দুম করে বন্ধ করবেন না ভাত খাওয়া। প্রথমে প্রতিদিন ভাত খাওয়ার পরিমাণ কমান, তারপর সপ্তাহে কত দিন ভাত খাবেন আর কখন ভাত খাবেন সে দিকে খেয়াল রাখুন। তারপর আপনি ধীরে ধীরে ছেড়ে দিতেই পারেন ভাত খাওয়া।

দেখে নি যে কারণগুলোতে প্রত্যেকদিন পরিমিত পরিমাণ ভাত খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা :

১. পেটের সমস্যা বা হজমের অসুবিধা রয়েছে তারা দিনে একবার অন্তত ভাত খান। এতে বদহজম, অ্যাসিডিটি, গ্যাসের মতো পেটের অনেক সমস্যা দূর হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য কমবে, পেট পরিষ্কার হবে ভালো। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।

২. ভাতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকে, তাই অল্প ভাত খেলেই অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে। বারবার খিদে বা অতিরিক্ত খিদে পাবে না।

৩. গরমে ভাত তৃপ্তি দেয় ও শরীর ঠান্ডা রাখে। তবে দিনের বেলায় অন্তত একবার ভাত হাল্কা তরকারি দিয়ে। ভাত খাওয়ার নিয়ম হলো, থালায় ভাতের পরিমাণ কম, সবজি বেশি ও মাছ-মাংস থাকবে পরিমিত। তবেই ভাত খাওয়ার সাথে পুষ্টিগুণের সামঞ্জস্য বজায় থাকবে।

৪. যারা ভাত ছাড়া খেতে পারেন না অথচ ওজন বেড়ে চলেছে অনবরত, তারা ব্রাউন রাইস খেতে পারেন। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

৫. ভাতের মধ্যে ফাইবার রয়েছ, যা পেট ভর্তির পাশাপাশি সারাদিনের শক্তির জোগান দেয়। এছাড়াও ভাতে ভিটামিন, মিনারেলস এবং যাবতীয় গুরত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় নিউট্রিয়েন্টসও উপস্থিত।

৬. ভাতে থাকা ভিটামিন বি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ত্বক মসৃণ করে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।

৭. ভাতের সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডাল, মাছ-মাংস, সবজি এইগুলো খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে ভাতের পরিমাণের ওপর।

ভাতের উপকার বাড়াতে যে বিষয়গুলি খেয়াল রাখা দরকার :

১. প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে ভাত খাওয়া উচিত। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য দিনে ১ থেকে ১.৫ কাপ রান্না করা ভাত যথেষ্ট। অতিরিক্ত ভাত খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।

২. ভাত খাওয়ার সময় সঙ্গে সবজি, ডাল, মাছ বা মাংস রাখা উচিত। এতে প্রোটিন, ফাইবার ও ভিটামিনের সঠিক মিশ্রণ হয়। খাওয়ার পুষ্টিগুনের ভারসাম্য বজায় থাকে

৩. ভাতে আর্সেনিক ও ধুলো-মাটি থাকায় ভালোভাবে ধুয়ে রান্না করা দরকার।

৪. সাদা ভাতের পরিবর্তে মাঝে মাঝে ব্রাউন রাইস বা বেশি রিফাইন্ড চাল ব্যবহার করবাদন না, ফাইবার কম থাকে এগুলোতে।

৫. রাতে বেশি ভাত খাওয়া এড়ানো উচিত, কারণ রাতে হজম প্রক্রিয়া ধীর থাকে। খেতে হলে হালকা পরিমাণে এবং রাত ৮টার মধ্যে খেয়ে নেওয়া ভালো।

৬. রান্নার পর অনেকক্ষণ রেখে দেওয়া ঠান্ডা ভাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। তাই গরম গরম খাওয়াই ভালো।

PREV
click me!

Recommended Stories

৬০ সেকেন্ডের কম সময়ে মেজাজ হবে ভালো, রইল টিপস
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা ভুগছেন? নিয়মিত এই যোগাসনগুলো করলে মিলবে আরাম, জেনে নিন কী কী