
কিডনি ক্যান্সার সম্প্রতি ব্যাপক আকার ধারণ করছে। প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত করলে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়া সম্ভব। এই পোস্টে কিডনি ক্যান্সারের কিছু লক্ষণ সম্পর্কে জানবো যা অবহেলা করা উচিত নয়।
পিঠে ব্যথা
কিডনির সমস্যায় পিঠে ব্যথা একটি প্রধান লক্ষণ। পিঠের দুই পাশে ব্যথা হলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
রক্তাল্পতা
কিডনি ক্যান্সারে আক্রান্তদের রক্তাল্পতা দেখা দিতে পারে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক থাকে না। পুষ্টিকর খাবার খেলে রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করা যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হয়।
ফোলা
সাধারণত কিডনির সমস্যা বা কিডনি ক্যান্সার হলে পা ও পায়ের পাতায় ফোলা দেখা দেয়। কিডনিতে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে প্রথম লক্ষণ হিসেবে পায়ে ফোলা দেখা দেয়। এই ফোলা অবহেলা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
গোটা
পেটে বা কোমরে দুই পাশে অথবা কিডনি যেখানে অবস্থিত সেখানে পিঠের দুই পাশে গোটা দেখা দিতে পারে। এগুলোকে অবহেলা করা উচিত নয়। এগুলো ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
মূত্রে রক্ত
সবসময় প্রস্রাব পরীক্ষা করা উচিত। প্রস্রাবে রক্ত গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কয়েক ফোঁটা রক্ত গেলেও তা সমস্যার লক্ষণ। প্রস্রাবে রক্ত যাওয়া কিডনির সমস্যার একটি প্রধান লক্ষণ। প্রস্রাবে কয়েক ফোঁটা রক্ত গেলেও তা কিডনি ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
দুর্বলতা
কিডনির সমস্যা হলে শরীর দুর্বল এবং ক্লান্ত বোধ হয়। তীব্র শারীরিক দুর্বলতা স্বাভাবিক মনে হলেও ঘন ঘন হলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এটি কিডনি ক্যান্সারের লক্ষণও হতে পারে। কখনও কখনও এটি অন্য কোনও রোগ বা পুষ্টির অভাবের লক্ষণ হতে পারে। সেক্ষেত্রেও ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ক্ষুধামন্দা
ক্ষুধামন্দা স্বাভাবিক মনে হতে পারে। তবে এটিও কিডনির সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ। পেট, অন্ত্র, এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সমস্যা হলেও ক্ষুধামন্দা হতে পারে। কিডনি ক্যান্সারও এর মধ্যে পড়ে। ক্রমাগত ক্ষুধামন্দা হলে নিজে নিজে টনিক খাওয়া বন্ধ করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
উচ্চ রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সাধারণত, যদি আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকে তবে এটি শরীরে স্বাস্থ্যগত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কিডনির সমস্যাও এর ব্যতিক্রম নয়। হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া কিডনি ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।