Weight Loss: ওজন কমাতে চাইলে সবার আগে রপ্ত করুন এই কয় অভ্যেস, দ্রুত মিলবে উপকার

সবার আগে খাবার খাওয়ার সময় নির্ধারণ করে নিন। রোজ এই এক সময় খাবার খান। বারে বারে খাবার খাবেন না। এরই সঙ্গে খাবারের মাপ যেন রোজ এক থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। বারে বারে খাবর খেলে বা খাবারের সময় বদলের কারণে বাড়তে পারে শারীরিক জটিলতা। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস।

খাবার খাওয়ার সময় টিভি দেখবেন না বা পোন ঘাঁটবেন না। এই সময় মন অন্য দিকে থাকলে অজান্তে কেউ বেশি খাবার খেয়ে ফেলেন। তেমনই অন্য মনস্ক ভাবে খাবার খেলে খাবার সঠিক ভাবে হজম হয় না। এতে সমস্যা তৈরি হয়।

ওজন কমাতে গিয়ে একেবারে ক্যালোরি বাদ দিয়ে ফেলেন অনেকে। এই ভুল একেবারে নয়। পরিমাণ বুঝে খাবার খান। খাদ্যতালিকায় যেমন রাখবেন প্রোটিন, ফাইবার থেকে শুরু করে একাধিক উপকারী উপাদান। তেমনই রাখতে হবে পরিমাণ মতো ক্যালোরি। তাই নিজের ডায়েট চার্ট তৈরির আগে চেষ্টা করুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে।

খাবার খাওয়ার সময় কথা বলবেন না। এই সময় এক মনে খাবার খান। এতে পরিতৃপ্তি আসবে। ফলে বেশি খাবার খাবেন না। রোজ এই নিয়ম মেনে চলুন। খাবার খাওয়ার সময় গল্প করার অভ্যেস থাকলে কা ত্যাগ করুন। এতে মিলবে উপকার।

অনেকেই ওজন কমাতে গিয়ে খাবার স্কিপ করে থাকেন। তবে, এতে শরীরে খারাপ প্রভাব পড়ে। সঙ্গে ওজন কমার বদলে বেড়ে যায়। তাই ভুলেও ব্রেকফার্স্ট স্কিপ করবেন না।

ধীরে ধীরে খাবার খান। তা পুরোপুরি চিবিয়ে খান। এই ভুল অনেকে করেন। খাবার খাওয়ার সময় যা খাবেন তা ভালো করে চিবিয়ে খান। এতে তা সহজে হজম হবে। দ্রুত খাবার খাওয়ার অভ্যেস থাকলে আজই তা ত্যাগ করুন। মেনে চলুন এই সকল বিশেষ টিপস।

খাবার পর জল পান করবেন না। অজান্তে এই ভুলে অনেকের ওজন বাড়ে। খাবার পর জল পান করলে বিপাকীয় ক্রিয়ার ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। তাই এই ভুল একেবারে নয়। খাবার অন্তত ৩০ মিনিট পর জল খাবেন। আর সব থেকে ভালো হয় যদি খেতে বসার আগে জল পান করেন। এতে পেট ভর্তি থাকবে। ফলে বেশি খাবার খেতে পারবেন না।

খেতে বসার আগে জল পান করুন। তেমনই গোটা দিনে ৭ থেকে ৮ গ্লাস করে জল খান। এতে শরীর সুস্থ থাকার সঙ্গে কমবে বাড়তি মেদ।

এই সময় পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। অনেকেই মনে করেন বেশি ঘুমালে ওজন বাড়ে। এই ধারণা একেবারে ভুল। তাই রোজ ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমান। এতে ওজন বাড়বে না বরং কমবে। রোজ পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। তবেই কমবে বাড়তি মেদ।

সঙ্গে ওজন কমাতে রোজ এক্সারসাইজ করুন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন। সারাদিন যতটা পারবেন সক্রিয় থাকুন। তা না হলে বাড়তি মেদ কমা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।