চোখ কাঁপা মানে শুভ বা অশুভ লক্ষ্মণ বলে মনে করা হয়। অনেকেই মনে করেছেন মেয়েদের বাঁ চোখ কাঁপা শুভ বলে মনে করা হয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে ডান চোখ। অনেকেই মনে করেন এরসঙ্গে শুভ বা অশুভ কোনও ব্যাপার জড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে চোখ কাঁপার সঙ্গে স্বাস্থ্যের যোগ রয়েছে। তাই এই বিষয়ে প্রথম থেকেই সাবধানে থাকা জরুরি।
27
এটি রোগ
চোখ কাঁপার সঙ্গে ভাগ্যের কোনও যোগ নেই। কিন্তু এরসঙ্গে সরাসরি স্বাস্থ্যের যোগ রয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই বিষয়টিকে বলা হয় অকুলার মায়োকেমিয়া। চোখ কাঁপা মানেই হল চোখের উপরের পাতায় কম্পন। নীচের পাতায় ওয়াটার লাইন-এও কম্পন হতে পারে। চোখ কাঁপলে চোখের রোগ হতে পারে। অনেক সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
37
চোখে স্ট্রোক
চিকিৎসকরা বলছেন, চোখ কাঁপলে চোখে স্টোক হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। চোখ কাঁপলে মস্তিষ্কে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কম। চিকিৎসকদের কথায় চোখের পাতা কাঁপা সর্বদাই কোনও রোগের লক্ষ্মণ নয়। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে এই সমস্যা থাকলে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা হতে পারে। দৃষ্টি শক্তি ঝাপসা হয়ে গেলে এইজাতীয় সমস্যা হতে পারে।
47
দৃষ্টি শক্তি নষ্ট হতে পারে
চোখের স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যহত হলে চোখের রক্তনালগুলির ওপর চাপ বাড়ে। রেটিনা রক্ত চলাচল ব্যহত হলে এই সমস্যা হয়। চোখের ভিতর প্রদাহ শুরু হয়। তাই এই সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। রোগ নির্ণয়ে বা চিকিৎসায় গাফিলতি ঘটলে দু’টি চোখেরই দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হতে পারে। দীর্ঘ দিন ধরে রক্তচাপ বা শর্করা অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকলেও কিন্তু তার প্রভাব চোখের উপর পড়ে।
57
এই রোগের কারণ
এই রোগের কারণ- হঠাৎ কোনও দুর্ঘটনার কবলে পড়লে, মোবাইল বা ল্যাপটপে দীর্ঘ সময় কাজ করলে, মোবাইল ফোন বেশি সময় ধরে ঘাঁটলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
67
স্ট্রোকের ইঙ্গিত
‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, অকুলার মায়োকেমিয়া যদি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে যায়, তা স্ট্রোকের ইঙ্গিত দিতে পারে। চোখের স্ট্রোককে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলে ‘রেটিনাল আর্টারি অক্লুশন’। রেটিনায় রক্ত সরবরাহকারী ধমনী বা শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে বা অন্য কোনও কারণে ব্লক হয়ে যায়। এর ফলে রেটিনার কোষগুলি অক্সিজেনের অভাবে নষ্ট হতে থাকে। এতে এক চোখে আংশিক বা সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
77
চোখ ভালো রাখুন
চোখ ভালো রাখতে টোখের স্ট্রেস কমানো উচিৎ। প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন যুক্ত খাবার খাওয়া জরুরি। কম আলোকে ল্যাপটপ বা মোবাই ব্যবহার করা উচিৎ নয়। বেশি মাত্রায় চা কফি এড়িয়ে চলুন। চোখের পরীক্ষা মাঝে মধ্যে করতে হবে। প্রয়োজনে সর্বদাই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।