
চোখে ঝাপসা দেখা মানেই পাওয়ার বেড়ে যাওয়া নয়। এটি সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। এই দুটি অবস্থার মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হলে, ঝাপসা দেখার ধরন এবং অন্যান্য লক্ষণগুলি খেয়াল করতে হবে। রেটিনার সমস্যা হলে সাধারণত দৃষ্টিতে হঠাৎ পরিবর্তন আসে, যেমন—হঠাৎ করে আলোর ঝলকানি বা ভাসমান দাগ দেখা, চোখের পাশে দৃষ্টি কমে যাওয়া বা সম্পূর্ণ দৃষ্টি হারানো। অন্যদিকে, পাওয়ারের সমস্যা হলে সাধারণত দৃষ্টি অস্পষ্ট হয় এবং দূর বা কাছের জিনিস ঝাপসা দেখায়।
* হঠাৎ আলোর ঝলকানি বা ভাসমান দাগ: যদি হঠাৎ করে চোখের সামনে আলোর ঝলকানি বা কালো দাগ (ভাসমান) দেখা যায়, তাহলে তা রেটিনার সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
* দৃষ্টির একপাশে অন্ধকার দেখা: যদি মনে হয় আপনার দৃষ্টির কিছু অংশ অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে বা একটি পর্দার মতো কিছু পড়ছে, তবে এটি রেটিনা বিচ্ছিন্নতার ইঙ্গিত হতে পারে।
* ঝাপসা দৃষ্টি: যদি ঝাপসা দৃষ্টির সঙ্গে মাথা ঘোরা বা চোখের মধ্যে ব্যথা থাকে, তাহলে তা গুরুতর রেটিনার সমস্যা হতে পারে।
* আঘাতের পর ঝাপসা দেখা: যদি চোখে কোনো আঘাত লাগে, তবে তা রেটিনার ক্ষতির কারণ হতে পারে এবং এর ফলে দৃষ্টি ঝাপসা হতে পারে।
* দৃষ্টির বিকৃতি: যদি মনে হয় বস্তুকে বিকৃত আকারে দেখছেন, তাহলে এটি রেটিনার কেন্দ্রীয় অংশ, অর্থাৎ ম্যাকুলার সমস্যা হতে পারে।
* সবসময় ঝাপসা দেখা: পাওয়ারের সমস্যা থাকলে সাধারণত সব দূরত্বেই ঝাপসা বা অস্পষ্ট দেখায়, বিশেষ করে দূরের জিনিসপত্র দেখতে অসুবিধা হয়।
* অতিরিক্ত চোখের চাপ: ঝাপসা দেখার সাথে যদি চোখের পাতা কুঁচকে যায় বা বারবার চোখ পিটপিট করতে হয়, তাহলে পাওয়ারের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
* মাথাব্যথা: পাওয়ারের সমস্যার কারণে মাথাব্যথা বা চোখের চাপ অনুভব হতে পারে।
* রাতের বেলায় গাড়ি চালাতে অসুবিধা: পাওয়ারের সমস্যা হলে রাতে গাড়ি চালানো কঠিন হতে পারে, কারণ রাস্তায় থাকা চিহ্নগুলো ঝাপসা দেখায়।
** কী করা উচিত? যদি ঝাপসা দেখা বা চোখের যেকোনো সমস্যা দেখা যায়, তাহলে দ্রুত একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা জরুরি। যদি চোখের পাওয়ার বা রেটিনার সমস্যা ধরা পড়ে, তবে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা শুরু করা উচিত, কারণ এতে দৃষ্টিশক্তি হারানোর ঝুঁকি থাকে। রেটিনার সমস্যা এবং পাওয়ারের সমস্যা উভয়ই জরুরিভাবে চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে, তাই কোনো অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।