রাতের ঘুম ছুটে গিয়েছে? অনিদ্রা দূর করতে বিশেষজ্ঞদের টিপসগুলি জানুন

Published : Aug 29, 2025, 05:06 PM IST
sleep

সংক্ষিপ্ত

নিত্যদিনের কাজের চাপ আর হাড়ভাঙা পরিশ্রম করার পর যখন বিশ্রামের সময় আসে তখন আবার বিছানায় শুলে ঘুম উড়ে যায়। অনিদ্রা এসে ঘিরে ধরে।

নিত্যদিনের কাজের চাপ আর হাড়ভাঙা পরিশ্রম করার পর যখন বিশ্রামের সময় আসে তখন আবার বিছানায় শুলে ঘুম উড়ে যায়। অনিদ্রা এসে ঘিরে ধরে। অনিদ্রা হল সাধারণত ঘুমের সমস্যা যেখানে একজন ব্যক্তির ঘুমিয়ে পড়তে বা ঘুমিয়ে থাকতে বা পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে সমস্যা হয়।

অনিদ্রা কেবল ঘুম না পাওয়াই নয়, এটি নানাভাবে প্রকাশ পেতে পারে এবং কখনও কখনও মানুষ বুঝতেও পারে না যে তারা এটি অনুভব করছে। কিছু মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা জেগে থাকে, আবার কেউ কেউ সহজেই ঘুমিয়ে পড়ে কিন্তু সারা রাত জেগে থাকে। যদি ঘুমের সমস্যা নিয়মিত হয় এবং দিনের বেলায় আপনার অনুভূতির উপর প্রভাব ফেলে, তাহলে বুঝতে হবে আপনি অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন। এর ফলে শরীরে ক্লান্ততা,শক্তির অভাব এবং দিনের বেলায় কাজেকর্মে মনোযোগ কমিয়ে দিতে পারে আপনার অনিদ্রা। রাতে ঘন্টার পর ঘন্টা জেগে থাকা,খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা এবং আবার ঘুমাতে না পারা ঘুমানোর পরেও ক্লান্ত বোধ করা এটা একধরনের সমস্যা । কিন্তু আমরা এই রোগের উৎস সম্পর্কে গুরুত্ব দিই না। রোগের চিকিৎসা নিয়েও তেমন মাথা ঘামাই না। সেই কারণে এটিআগামী দিনে জটিল রোগের আকার নিতে পারে।

অনিদ্রার সমস্যা

দিনের বেলায় মনোযোগ দিতে সমস্যা হচ্ছে খিটখিটে বা উদ্বিগ্ন বোধ করা এটাও একপ্রকার অনিদ্রার কারণ হতে পারে। এবার প্রশ্ন উঠছে এর কি উপায় বের করলে অনিদ্রা নিরাময় করা সম্ভব।

অনিদ্রা দূর করতে পরামর্শ

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় বালিশের পাশে টাকা ভর্তি ব্যাগ রাখতে নেই। এতে রাতে ঘুমের মধ্যেও অর্থের চিন্তা আসবে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।এছাড়া বিছানার নিচে জুতো চটি খুলে রাখবেন না, বিশেষজ্ঞদের মতে এতে আবার বাস্তু দোষ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় আর ঘুমের ব্যাঘাতও ঘটে। এছাড়া মোবাইল ফোন নিয়ে রাতে বিছানার পাশে রেখে শুতে নেই। এতে বারে বারে মোবাইল ফোনের দিকে নজর যাবে,ফোন ঘাঁটতে ইচ্ছা করবে আর ঘুম উড়ে যাবে। তাই চেষ্ঠা করবেন রাতে শুতে গিয়ে ফোন না দেখার। বিশেষজ্ঞ দের মতে এই ধরনের উপায় গুলো করলে অনিদ্রার থেকে অনেকটা সুরাহা মিলতে পারে। তবে অনিদ্রার জন্য কোনো ল্যাব পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু যদি কারণটি স্পষ্ট না হয়, অথবা যদি আপনার ডাক্তার মনে করেন যে অন্য কোনও ঘুমের ব্যাধি জড়িত থাকতে পারে (যেমন স্লিপ অ্যাপনিয়া বা অস্থির পা) সেক্ষেত্রে কিছু পরীক্ষা করতে পারে।

পরীক্ষা গুলোর মধ্যে হয়তো স্লিপ ডায়েরি করা হতে পারে যেখানে আপনাকে ১-২ সপ্তাহ ধরে আপনার ঘুম ট্র্যাক করতে বলা হতে পারে।

ঘুমানোর সময় এবং জাগার সময় । আপনি রাতে কতবার ঘুম থেকে ওঠেন বা সকালে আপনি কতটা সতেজ বোধ করেন এই সবই ট্র্যাক করা হয় থাকে এই পরীক্ষা গুলিতে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

শীতকালীন অবসাদ জানেন কী হয়? মন ভালো করতে কেক বা চকলেট নয়, করুন এই কয়েকটি উপায়
৬০ সেকেন্ডের কম সময়ে মেজাজ হবে ভালো, রইল টিপস