
ডায়েট এবং স্বাস্থ্য জগতে আজকাল একটা নতুন ট্রেন্ড চলছে, মধুতে রসুন ডুবিয়ে খাওয়া। রসুন এবং মধু দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী বলে মনে করা হয়। রসুনকে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক বলা হয়, আর মধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শক্তি জোগাতে কাজ করে। এই দুটো একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীরের অনেক উপকার হয়। যেমন সংক্রমণ থেকে রক্ষা, হজমশক্তি উন্নত করা এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখা। কিন্তু মধু আর রসুনের এই মিশ্রণ সবার জন্য উপযুক্ত নয়। কিছু মানুষের জন্য মধুতে ডোবানো রসুন খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। তাই কোন পরিস্থিতিতে বা অসুস্থতায় এই দুটো জিনিস খাওয়া উচিত নয় এবং এর কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, তা জেনে নেওয়া জরুরি। চলুন, এই প্রতিবেদনে বিস্তারিত জেনে নিই।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য
মধুতে প্রাকৃতিক চিনির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। ডায়াবেটিসের রোগীরা যদি এটি খান, তাহলে তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে। রসুন ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, কিন্তু মধুর মিষ্টত্ব এর প্রভাব কমিয়ে দেয়। তাই এই ধরনের রোগীদের মধু এবং রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
নিম্ন রক্তচাপের রোগীদের জন্য ঝুঁকি
রসুনের রক্তচাপ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। যদি এটি প্রতিদিন মধুর সঙ্গে খাওয়া হয়, তাহলে রক্তচাপ আরও কমে যেতে পারে। যাদের প্রায়ই মাথা ঘোরা, দুর্বলতা বা নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা থাকে, তাদের এটি একেবারেই খাওয়া উচিত নয়।
অ্যালার্জিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা
কিছু মানুষের রসুনে অ্যালার্জি থাকে, যার ফলে ত্বকে র্যাশ, চুলকানি বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে। আবার, মধু থেকেও অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যদি কারও আগে থেকেই অ্যালার্জির সমস্যা থাকে, তাহলে মধু-রসুনের মিশ্রণ খেলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
হজমের সমস্যায় ক্ষতিকর
রসুনের স্বাদ তীব্র । বেশি পরিমাণে খেলে পেটে জ্বালা, অ্যাসিডিটি, গ্যাস এবং ডায়ারিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে মধুও হজমের সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। যাদের আগে থেকেই পেটের সমস্যা আছে, তাদের এই ঘরোয়া টোটকা এড়িয়ে চলা উচিত।
সার্জারি বা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান যারা
রসুন রক্ত পাতলা করার কাজ করে। যদি কেউ আগে থেকেই রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান বা সম্প্রতি তার সার্জারি হয়ে থাকে, তাহলে মধুতে ডোবানো রসুন খেলে রক্তপাতের ঝুঁকি আরও বাড়তে পারে। তাই এই ধরনের মানুষদেরও মধু এবং রসুন এড়িয়ে চলা উচিত।