Gastric Heatburn: অ্যান্টাসিডের দরকার নেই, প্রত্যেকদিন এই নিয়মগুলি মেনে চললেই কমাতে পারবেন গ্যাস-অম্বল

খাওয়াদাওয়া জমিয়ে না হলেও দিন দিন বেড়েই চলেছে অম্বলের উৎপাত। অ্যান্টাসিড না খেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে এই উৎপাত কমাবেন কীভাবে?

Sahely Sen | Published : Feb 13, 2024 12:12 PM IST

বদহজমের সমস্যায় জেরবার বাঙালির জীবন। খাওয়াদাওয়া জমিয়ে না হলেও দিন দিন বেড়েই চলেছে অম্বলের উৎপাত। অ্যান্টাসিড খেয়ে সাময়িক নিস্তার পাওয়া গেলেও ঘন ঘন বদহজমের সমস্যা মোটেই ভালো লক্ষণ নয়। বদহজম, গ্যাস-অম্বল, বুক জ্বালার সমস্যাই পরবর্তীকালে গ্যাস্ট্রিক আলসার, পেটের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। বদহজমের সমস্যা দূর করতে কিছু ঘরোয়া উপায়ই আপনাকে করে তুলতে পারে সুস্থ ও স্ফূর্ত। অবশ্যই জেনে নিন এই কয়েকটি নিয়ম :

সঠিক সময়ে ও কম পরিমাণে খাবার খান-

একসঙ্গে অনেকটা খাবার খেয়ে নিলে বদহজমের সমস্যা বাড়বে। অল্প অল্প করে খাবার খান। দিনে পাঁচবার খাবার খান। চেষ্টা করবেন সন্ধে ৭টার পর ভারী কিছু না খেতে। সন্ধের মধ্যেই ডিনার সেরে ফেলুন। ভাজাভুজি, মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। এমন খাবার খাবেন না, যা হজম হতে বেশি সময় লাগবে। ডায়েটে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, তাজা শাক-সবজি, ফল বেশি করে রাখুন।



ধূমপান ত্যাগ করুন-

ধূমপান শুধু যে ফুসফুস ক্ষতি করে, তা নয়। ধূমপানের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাচনতন্ত্রও। অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা দেখা দেয় ধূমপানের কারণে। ধূমপানের কারণে পেপটিক আলসার, প্যানক্রিয়াটাইটিস এবং অন্যান্য ক্রনিক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পারে।

মদ্যপান কমান-

অ্যালকোহল মারাত্মকভাবে পাকস্থলীর ক্ষতি করে। অল্প পরিমাণে মদ্যপান করলেও এতে অ্যাসিড উৎপন্ন হয়। অ্যালকোহলের ফলে পেটের আস্তরণে প্রদাহ তৈরি হয়। যার জেরে পেটে ব্যথা, বমি এবং ডায়ারিয়ার সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়া এতে আলসারের ঝুঁকিও বাড়ে।



স্বাস্থ্যকর পানীয়র উপর জোর দিন-

গরম গলা ভেজাতে সফট ড্রিংক্স পান করেন? এর বদলে ডাবের জল, ঘোল, লেবুর জল, তাজা ফলের রস পান করুন। এতে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ঝুঁকি কমে যায়। পাশাপাশি হজম স্বাস্থ্য উন্নত হয়।

যোগাসন করুন-

বদহজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে শরীরচর্চা করতেই হবে। এক্ষেত্রে যোগাসন করলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন। পবনমুক্তাসন, বজ্রাসন, বালাসন ইত্যাদি করতে পারেন। এতে আপনি চিরতরে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।



প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমান-

রাতে ভালো ঘুম না হলে, কিংবা ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হলে অনেকেই অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন। অনিদ্রার সমস্যা বদহজমের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। ঘুমের সমস্যা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। সুতরাং, বদহজম, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রোজ কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।
 

Share this article
click me!