
ট্যাবলেট খেলেই দূর হবে ক্যানসার। রক্তের ক্যান্সার এবার নির্মূল করতে বাজারে আসতে চলছে বিশেষ ওষুধ। গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যাল ওষুধটি বানিয়েছে। এবার আমেরিকান এই সংস্থার ওয়ার্কশপ রয়েছে ভারতেও। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ভারচীয়দের শরীর বুঝেই ওষুধটি নতুন ফর্মুলায় তৈরি করেছে গ্লেনমার্ক। সেই নির্দিষ্ট ডোজে খেলে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজন থেকে যাবে।
রক্তের ক্যানসার একটি কঠিন রোগ। এই রোগের নাম শুনে সকলে ভয় পান। একটা সময় রক্তে ক্যানসার ধরা পড়লেই মৃত্যুভয় শুরু হত। কারণ মনে করা হত বাঁচার আর সম্ভাবনা নেই। ক্রনিক মায়েলয়েড লিউকেমিয়া-র মতো রক্তের ক্যানসার ধরা পড়লে তো কথাই নেই। অস্থিমজ্জা থেকে দ্রুত রক্তে ক্যানসার ধরা পড়ে এই ক্যানসার।
যত দিনে এই রোগের উপসর্গ ধরা পড়ে, ততদিনে ক্যানসারের ফোর্থ স্টেজ-এ পৌঁছে যায়। তবে, এখন রক্তের ক্যানসারের নানা রকম চিকিৎসাপদ্ধতি চলে এসেছে। রেডিয়োথেরাপি ও কেমোথেরাপির যন্ত্রণা কমাতে ইমিউনোথেরাপি এবং মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি দিয়ে চিকিৎসাও হয়। তবে, লিউকেমিয়ার নিরাময়ে খাওয়ার ওষুধ তেমন ভাবে আসেনি দেশে। গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যাল এই প্রথম খাওয়ার ট্যাবলেট নিয়ে এল। এই ওষুধের নাম জানুব্রুটিনিব।
ব্রুকিনসা ব্র্যান্ড নামে বিক্রি হবে এই ওষুধ। এর ট্রানাল চলছিল বহুদিন ধরে। এবার ফল ভালো আসায় ক্যানসার নিরাময়ের জন্য এই ওষুধ আসছে বাজারে। ট্রায়ালের রিপোর্ট দেখে ওষুধটির উৎপাদন ও বিক্রিতে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ নিরামক সংস্থা।
রক্তের ক্যানসার অনেক রকমের হয়। যার মধ্যে একটি ক্রনিক মায়েলয়েড লিউকেমিয়া। এটি শ্বেত রক্তকণিকার ক্যানসার। অস্থিমজ্জার যে স্টেম কোষ রক্তকণিকা তৈরি করে, সেই কোষের অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি শুরু হলে তখন তা ক্যান্সারে রূপ নেয়। মায়েলয়েড কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি ঘটলে ক্যানসার কোষে বদলে যায়। এই কোষ থেকে লোহিত কণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা, অনুচক্রিকা তৈরি হয়।
এখন প্রশ্ন হল এই ওষুধের দাম কত?
জানুব্রুটিনিব ওষুধের দাম ২০ হাজার থেকে আড়াই লাখের মধ্যে হতে পারে। যে কোম্পানি ওষুধ বিক্রি করবে তারা দাম নির্ধারন করবে। একটি বাক্সে ৮০ মিলিগ্রাম ডোজের ১২০টি ট্যাবলেট থকাবে।